১২মার্চ/১৬ শনিবার চট্রগ্রাম নগরীর সমাবেশ কমিউনিটি সেন্টারে সকাল ১০টায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে এক অবিস্মরণীয় পুনর্মিলন, অগ্নিঝরা ষাট দশকের প্রাক্তন ছাত্রলীগের মহামিলন অনুষ্ঠিত হয়। বৃহত্তর চট্টগ্রাম প্রাক্তন ছাত্রলীগ (১৯৬০-১৯৭৫) নেতাকর্মী পুর্নমিলনী পরিষদের আয়োজনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা/থানা থেকে শত শত প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী এই অনুষ্ঠানে এসে উপস্থিত হতে থাকেন। ১১.১০ মিনিটে জাতীয় ও ছাত্রলীগের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সাবেক মেয়র চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, ষাট দশক ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতা এস এম ইউসুফ, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মো: নুরুন্নবী, ইসমত কাদির গামা, আজকের অনুষ্ঠানের মহাসচিব এম রেজাউল করিম চৌধুরী। অতপর সম্মিলিতভাবে সকলে বেলুন উড়িয়ে দেন। ষাট দশকের প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোওয়াত এবং পরে গীতা পাঠের মাধ্যমে ১ম পর্বের স্মৃিতচারণ আরম্ভ হয়। এম রেজাউল করিম চৌধুরী সম্পাদিত ষাট দশকের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশিত গ্রন্থ সম্মিলিতভাবে উম্মোচন করেন আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। স্মৃতিচারণে এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বর্তমান ও অতীতের ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে তুলনামূলকভাবে আলোচনা করে বলেন, অতীতের ছাত্রলীগ ছিল আদর্শবান ত্যাগী। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, নির্লোভ, নেতাকর্মীদের সমাহার। বর্তমান ছাত্রলীগকে ঐ আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধকারী অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে হবে।
স্মৃিতচারণের বিশিষ্ট বক্তা ষাট দশকের প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা এস এম ইউসুফ আজকের এই মিলনমেলাকে মহতী উদ্যোগ আখ্যায়িত করে ইতিহাস হয়ে থাকার কথা ব্যক্ত করে বলেন স্বাধীনতার চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কখনো নির্বাসিত হবে না।
স্বাগতম বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব এম রেজাউল করিম চৌধুরী। আরো বক্তব্য রাখেন-ষাট দশকের প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা মো: আশরাফ খাঁন, মো: নুরুন্নবী, অধ্যক্ষ ফজলুল হক, সাবেক এমপি নুরুল আলম চৌধুরী, রেজাউল হক মোস্তাক, ইসমত কাদের গামা, গোলাম রব্বান, ডা: জাফর উল্লাহ, মোসলেম উদ্দিন, ডা: মাহফুুজর রহমান, নাঈম উদ্দিন চৌধুরী, মফিজুর রহমান, সাবেক এম.পি মোজাহারুল হক শাহ চৌধুরী, মো: জামাল উদ্দিন, জসিম উদ্দিন খান, ডা: শামসুদ্দিন, আবদুল্লাহ রায়হান রাজু, এডভোকেট আহমদ হোসেন, ড. জিনোবোধি ভিক্ষু, আহমদ ছফা, কাশেম চিশতী, আনোয়ারুল আজিম, অরুন দাশ সাথী, আবুল হাশেম, দেওয়ান মকসুদ আহমদ, ফেরদোস হাফিজ খান রুমু, নুরুল ইসলাম, মো: আলী নেওয়াজ, ইউসুফ জামাল, মোজাহেরুল ইসলাম, অধ্যাপক আবু সৈয়দ, সামশুল হক শফি, হারুন অর রশিদ, এস কে পাল, চিত্তরঞ্জন সরকার এবং শোক প্রস্তাব পাঠ করেন আবু সৈয়দ চৌধুরী। স্মৃতিচারণ শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃিতক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
























