[english_date]

রায় নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত

আগামীকাল বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা নিয়ে বিএনপিতে অস্থিরতা চলছে। চলছে নানা রকমের প্রস্তুতিও। বেগম খালেদা জিয়া যদি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে যান তাহলে কি করণীয় তা নিয়ে গত কয়েকদিন দলের ভেতর-বাইরে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি ও নির্বাহী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে,রায় দেখে কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।

তবে রায়ের দিন ঢাকা এবং সারাদেশে রাজপথে অবস্থান থাকবে নেতা-কর্মীদের। এনিয়ে দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও প্রস্তুতি সভা করছেন। এসব বৈঠকের আসল বার্তা হলো ঐক্যবদ্ধ থাকা। যা বেগম জিয়া নির্বাহী কমিটির সভায় জোর দিয়ে বলেছেন।

বেগম খালেদা জিয়া সোমবার রাতে সিলেট সার্কিট হাউসে অবস্থানকালে স্থানীয় নেতারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি তাদেরকে সহিংস কর্মসূচিতে না যেতে পরামর্শ দিয়েছেন। ভবিষ্যৎ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ করার দিক-নির্দেশনা দেন তিনি। হজরত শাহজালাল (র.) ও শাহ পরানের (র.) মাজার জিয়ারতের পর সার্কিট হাউসে রাতে দুটি বৈঠক হয়।

একটিতে সিলেট মহানগরের ২৫-৩০ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। অপরটিতে সিলেট জেলার ২৫-৩০ জন নেতার সঙ্গে কথা বলেন খালেদা জিয়া।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে অংশ নেয়া সব নেতার সঙ্গেই কথা বলেন খালেদা জিয়া। এসময় সিলেটের সার্বিক অবস্থা ও বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে মতামত জানতে চান তিনি। নেতারা খালেদা জিয়াকে আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে তাদের প্রস্তুতির কথা জানান।

বেগম জিয়া নেতাদের বলেন, সহিংস কর্মসূচিতে আপাতত যাওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন হলে আপনারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। হুট করে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত যাতে না নেয়া হয় সে বিষয়ে সতর্ক করে দেন হাইকমান্ড। খালেদা জিয়া বলেন,পরিস্থিতি বুঝে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বিভেদ ভুলে সবাই একসঙ্গে মাঠে থেকে কাজ করবেন। মামলা-হামলা জেল এগুলোকে আমি ভয় পাই না। আপনাদের এসব নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।

বিগত আন্দোলনে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তিনি সিলেটবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, পুলিশের এত নির্যাতন গ্রেফতার-ভয়ভীতি উপেক্ষা করে পুরো শহর মানুষে মানুষে সয়লাব হয়ে গেছে।

 

এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় লিখে দিয়েছে সরকার, যার প্রস্তুতি নিতেই সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ডিএমপি। ৮ ফেব্রুয়ারিতে সরকার প্রধানের ইচ্ছা পূরণ নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বেপরোয়া উন্মত্তায় বিএনপি’র ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ