দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলার ৫০টি গ্রামে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। সাত উপজেলার ৫০ গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবারের প্রায় আড়াই লক্ষাধিক লোক বুধবার থেকে রোজা রাখা শুরু করেছেন।
জানা গেছে, বিগত ২’শ বছর আগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের পীর মাওলানা মুখলেছুর রহমান (রহঃ) পৃথিবীর অন্য যেকোন দেশে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা, ঈদ এবং কোরবানী পালনের নিয়ম প্রবর্তন করেন। এরপর থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সাথে তাল মিলিয়ে এসব পরিবারগুলো বাংলাদেশে একদিন-দুইদিন আগে রোজা, ঈদ ও কোরবানী পালন করে আসছে।
সারাদেশে মির্জাখীল দরবারের অনুসারীরাই এ নিয়ন পালন করে থাকে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের যেসব গ্রামে রোজা শুরু হয়েছে সেগুলো হলো- চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনগর,সাতবাড়িয়া, হারালা, বাইনজুড়ী, বরকল ও কানাইমাদারী, বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ও তৈলারদ্বীপ, সাতকানিয়া উপজেলার মীর্জাখীল, চরতী সুইপুরা ও গাটিয়াডেঙ্গা, লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ও চুনতী পটিয়া উপজেলার কালারপুল, হাইদগাঁও, মলপাড়া, পৌরসদর ও বাহুলি এবং বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ, বেঙ্গুরা ও সারোয়াতলী। এছাড়াও কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, রাজাখালী, টেকনাফ এবং হ্নীলাতে আরো শতাধিক পরিবার আজ থেকে রোজা রাখা শুরু করেছে।
চন্দনাইশের কাঞ্চননগর শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের শাহজাদা মৌলানা মতি মিয়া মনচুর বাংলামেইলকে জানান, ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় পলিনেশিয়া আইল্যাণ্ডে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। এ প্রেক্ষিতে বিশ্বের আরো ৫১টি দেশের সাথে তাল মিলিয়ে ৫০টি গ্রামে রোজা রাখা শুরু হয়েছে।’