মামলার এজাহারে ত্রুটি, তদন্তে ধীর গতি এবং সাক্ষী অনুপস্থিতির মতো নানা জটিলতা নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ আদালত। নতুন করে যেমন কোনো মামলা হচ্ছে না, তেমনি আগের মামলাগুলোর তদন্ত রিপোর্টও জমা হচ্ছেনা আদালতে।
এক্ষেত্রে সরকার নিয়োজিত কৌঁসুলি, পুলিশ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর একে অপরকে দোষারোপ করছে। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের ২’শ ৪০টি মামলার ভবিষ্যৎ।
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির জন্য এ বিভাগীয় পরিবেশ আদালত। বর্তমানে এ আদালতে ২শ’ ৪০টি মামলা রয়েছে । এর মধ্যে ৯০টি মামলা বিচারাধীন থাকলেও তদন্তাধীন রয়েছে বাকি ১শ’ ৫০টি মামলা। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তদন্তাধীন এসব মামলার কোনো প্রতিবেদন আদালতে আসছে না।
বিভাগীয় পরিবেশ আদালতের বিশেষ পি পি অ্যাডভোকেট বদরুল আলা বলেন, ‘বারবার রিমাইন্ডার দেয়ার পরও কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি। আর সাক্ষী আনার কথা থাকলেও সেটি আনা হয়নি।’
সরকার নিয়োজিত কৌঁসুলি সাক্ষী আনতে না পারায় সরাসরি পুলিশকে দায়ী করছে। আর পুলিশ দায়ী করছেন মামলায় সাক্ষী হিসেবে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের।
সিএমপি’র অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী ইবনু মুত্তাকী মিনান বলেন, ‘আমাদের যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনি যেই কর্মকর্তা সাক্ষী হিসেবে আসবেন, তারও দায়িত্ব আছে। নিজেরা উদ্যোগী হয়ে যদি আসেন তবে আমার মনে হয় কাজটি আরও গতিশীল হবে।’
তবে চট্টগ্রাম বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ মকবুল হোসাইনের দাবি, মামলার তদন্তে গতি আনার পাশাপাশি সাক্ষীদের আদালতে হাজির করাতে নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তদন্তধীন যেসব মামালা আছে, সেগুলোর তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেছি। এবং এগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সেই বিষয়ে আমরা বিজ্ঞ পিপিকে অনুরোধ জানিয়েছি।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দাবি, এখতিয়ার না থাকা সত্ত্বেও পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের পাশাপাশি তদন্তও করা হচ্ছে। কারণ পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের এবং তদন্তের ক্ষমতা একমাত্র পরিবেশ অধিদপ্তরের রয়েছে।