লালগ্রহ মঙ্গলে নাইট্রোজেন খুঁজে পেয়েছে নাসার রোভার কিউরিওসিটি। এই প্রথম মঙ্গলভূমি থেকে নাইট্রোজেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেল।
মঙ্গলপৃষ্ঠের ধূলা ও পাথরের নমুনা পরীক্ষা করার সময় কিউরিওসিটির অভ্যন্তরীণ ল্যাবে ধরা পড়ে নাইট্রোজেন। নাইট্রিক অক্সাইড রূপে এটি পাওয়া যায়। পাথুরে আস্তরণ তাপে গরম হয়ে ওঠার সময় নাইট্রেট থেকে যৌগটি তৈরী হয়ে থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান। আর যদি নাইট্রেটই হয়ে থাকে সন্ধান পাওয়া নাইট্রোজেনের সূত্র, তাহলে বলা যায়—অতীতে মঙ্গলে প্রাণ ছিল।
জীবন মাত্রই নাইট্রোজেন-নির্ভরশীল। তবে সেই নাইট্রোজেন থাকা চাই ব্যবহার উপযোগী কাঠামোয়।
আমাদের এই পৃথিবীতে মাটির অনুজীবরা ব্যবহার-অনুপযোগী নাইট্রোজেনকে বাতাসে ছাড়ে নাইট্রেট (তিন অক্সিজেন পরমাণু যুক্ত এক পরমাণু নাইট্রোজেন) রূপে। জৈবপ্রক্রিয়ায় এই নাইট্রেট ভেঙে ব্যবহার করে থাকে পৃথিবীর জীবরা। কিন্তু কিউরিওসিটি যে নাইট্রোজেনের দেখা পেয়েছে, তা যে ঠিক ওই জৈবপ্রক্রিয়ায় তৈরী হয়েছে—সে কথা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
বজ্রপাত কিংবা উল্কা পতনের কারণেও নাইট্রোজেন মিলতে পারে। সে সম্ভাবনা রয়েছে মঙ্গলের ক্ষেত্রেও।
নাইট্রিক অক্সাইড পাওয়ার খবরটি নাসার বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করেছেন প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস জার্নালের চলতি সপ্তাহের সংস্করণে।
গত সপ্তাহে রোভার বিজ্ঞানীরা কিউরিওসিটির সংগ্রহ করা মঙ্গলের নমুনা-মাটি থেকে ফ্যাটি এ্যাসিড খুঁজে পেয়েছিলেন। যে কোনো জীবের কোষপ্রাচীরের গুরুত্বপূর্ণ উপদান হল ফ্যাটি এ্যাসিড। কিন্তু নাইট্রেটের মতোই, অজৈব প্রক্রিয়ায় তৈরী হতে পারে এই রাসায়নিক যৌগটি। এর মানে, একমাত্র সন্ধানলাভই সব প্রমাণ করে না।