আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে গবেষণা অনেক দিন ধরেই চলছে। এবার তার সাফল্য হাতের মুঠোয়! এমনই দাবি করেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণায় নিযুক্ত প্রথমসারির চিন্তাবিদ রে কুর্জওয়েল। গুগলের ডাইরেক্টর অফ ইঞ্জিনিয়ারিং কুর্জওয়েল বলেছেন, আর মাত্র কয়েক বছর অপেক্ষা। ২০৩০-এর দশকের শেষ দিক থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে মানুষ মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে পারবে।
কুর্জওয়েলের দাবি, ভবিষ্যতে মানব-মস্তিষ্ককে অনলাইন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে। এর ফলে মস্তিষ্ক হয়ে উঠবে জৈবিক ও অজৈবিক চিন্তার সংমিশ্রণ।তিনি বলেছেন, মানব দেহের ডিএনএ স্ট্র্যান্ডস থেকে তৈরি ক্ষুদ্রাকৃতি ন্যানোবোটের মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগসাধন করা যাবে। এর ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে মানুষ নিজের চিন্তাশক্তি বাড়াতে পারবে।
কুর্জওয়েলের বক্তব্য, ২০৩০-এর দশকের শেষদিকে বা ২০৪০-এর দশকের প্রথমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তাকে ছাপিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে মানুষের সংমিশ্রিত চিন্তা মূলত হয়ে দাঁড়াবে অ-জৈবিক।এর ফলে মানুষের বুদ্ধিমত্তার অনেক উন্নতি হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে তাঁর মতে, এর সৃষ্টিকর্তা মানুষ। তাই এই অতিবুদ্ধিমত্তা মানুষের চাহিদা অনুযায়ীই নিয়ন্ত্রিত হবে।
উল্লেখ্য, এ ধরনের চিন্তা-যন্ত্রের ব্যাপারে ইতোমধ্যেই উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের মতো প্রথিতযশা বিজ্ঞানীরা। কারণ, এ ধরনের যন্ত্র মানব সভ্যতার অস্তিত্বের পক্ষে বিপজ্জনক বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা।