ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত রকেট হামলায় ইসরাইলে নয়শর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দেশটিতে অবস্থান করা ৪০ বিদেশিও রয়েছেন। এছাড়া অনেক বিদেশিকে বন্দি করে নিয়ে গেছে হামাস।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, হামাস-ইসরাইল সংঘাতে এখন পর্যন্ত নয়শর বেশি লোক তেল আবিবে নিহত হয়েছেন। শনিবারের (৭ অক্টোবর) অতর্কিত ওই হামলায় দক্ষিণ ইসরাইলের মরুভূমিতে অনুষ্ঠানরত ইলেক্ট্রনিক সংগীত উৎসবে ২৬০ জন নিহত হন, যার মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশি।
সোমবার (৯ অক্টোবর) থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাঞ্চনা পাতারচোকে বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতে থাইল্যান্ডের ১২ নাগরিক নিহত হয়েছেন, আর আহত হয়েছেন ৮ জন। এছাড়াও ১১ থাই নাগরিককে বন্দি করে নিয়ে গেছে হামাস।
রোববার (৮ অক্টোবর) তেল আবিবে অবস্থিত নেপালের দূতাবাস জানিয়েছে, হামাসের হামলায় ইসরাইলের কিবুতজ আলুমিমে ১০ নেপালি নিহত হয়েছেন। তবে এখনো এক নেপালি নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার (৯ অক্টোবর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইলে নয় জন মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেনকো রোববার (৮ অক্টোবর) জানিয়েছেন, হামাসের হামলায় দুই ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছেন।
এছাড়াও ফ্রান্স সরকার জানায়, ইসরাইলে হামাসের ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় দুই ফরাসি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ১৪ ফরাসি নিখোঁজ রয়েছেন।
রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার তেল আবিবে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে, এক রুশ নিহত ও ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ব্রিটেনে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে এক ব্রিটিশ যুবক নিহত এবং একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এছাড়াও কানাডা সরকার হামাসের হামলায় একজন কানাডিয়ান নিহত ও দুজন নিখোঁজের তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়াও চলমান এ সংঘাতে এক কম্বোডিয়ান নিহত এবং এক ব্রাজিলিয়ান আহত হয়েছেন। এছাড়া দুই ইতালিয়ান, দুই তানজেনিয়ান, দুই পেরাগুয়ান এবং পানামা ও আয়ারল্যান্ডের একজন করে নাগরিক নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া জার্মানি, মেক্সিকো, কলোম্বিয়ার বেশ কয়েকজন নাগরিককে বন্দি করেছে হামাস।