চলতি মাসে বাংলাদেশ সফরে তিনটি চার দিনের ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল। এই সিরিজের জন্য বাংলাদেশ ‘এ’ দলে রাখা হয়নি মুমিনুল হককে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে জাতীয় দলের দুটি টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে ‘এ’ দলের এই সিরিজে রাখা উচিত ছিল মমিনুলকে, এমনটাই মনে করেন বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন।
এদিকে পুরো সিরিজে না হলেও শেষ ম্যাচে মুমিনুলকে দলে রাখার আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তিনটি ৪ দিনের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সিরিজ শুরু হবে আগামী ১৬ মে।
ঠিক এক বছর আগে এই মুমিনুল ছিলেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক। তিনিই এখন আড়ালে। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সাদা পোশাকে টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন মুমিনুল হক। আর এখন ক্রিকেট বোর্ডের নজরে আসতে মরিয়া শুধু টেস্ট দলের বিবেচনায় থাকা এই ক্রিকেটার।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রান পেয়েছেন সাবেক এই টেস্ট অধিনায়ক। ৯ ম্যাচে ৪ ফিফটিতে ৪০ এর বেশি গড়ে করেছেন ৩৬১ রান। তার দল রূপগঞ্জ টাইগার্স রেলিগেটেড হওয়ায় সুপার লিগে আর খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। আপাতত অলস সময় কাটাতে হবে দেশের সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ এ দলের হোম সিরিজেও সুযোগ নেই তার। স্বাগতিকদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি মুমিনুলের।
নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘মুমিনুল হক তিন নম্বর ম্যাচটি খেলবেন। দলে বেশকিছু নতুন খেলোয়াড়কে সুযোগ দেয়া হয়েছে। আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। দুটি ম্যাচ খেলানোর বিষয়েও কথা হয়েছে। তবে আমরা শেষ ম্যাচটিতে তাকে রাখতে চাই। এখানে সে ব্যাটিং অনুশীলনের মতোই খেলবে। কিন্তু নতুনদের জন্য কমপক্ষে চারটি ইনিংস রাখা দরকার।’
আগামী মাসে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। ওই সিরিজেও আছে দুটি টেস্ট। তাই ‘এ’ দলের সিরিজটি সম্পূর্ণ খেলতে পারলে নিজের ব্যাটিং প্রস্তুতি ভালোভাবে সেরে নেয়ার সুযোগ পেতেন সাবেক টেস্ট ক্যাপ্টেন। যে সুযোগ তার প্রাপ্য বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘মুমিনুলকে অবশ্যই দলে রাখা যেত। যেহেতু সে আমাদের পুরনো খেলোয়াড় সেহেতু তাকে দলে রাখলে ভালো হতো।’