ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের ফুলের শুভেচ্ছা দিতে আসে ছাত্রদল। এসময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ তোলে দলটি। শনিবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টায় হাইকোর্ট চত্বর ও শিক্ষা ভবন এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের ছয়জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিক। এরমধ্যে তিনজন গুরুতর আহত। আহতরা ঢাকা ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতরা হলেন, ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন-সম্পাদক মুমিনুল ইসলাম জিসান, সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ছাত্রদল কর্মী আব্দুল্লাহ আল সাব্বির, বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিক, রাজু আহমেদ যুগ্ম সম্পাদক, এ এফ রহমান হলের ছাত্রদল কর্মী জারিফ, জহু হল ছাত্রদলের কর্মী আতিক ইশরাক।
হামলার বিষয়ে ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় নবীনদের শুভেচ্ছা জানাতে ফুল ও কলমের বিরুদ্ধে যে ছাত্রসংগঠন সশস্ত্র হামলা চালায় তা আদৌ ছাত্রসংগঠন কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। আমাদের তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। আব্দুল্লাহ আল সাব্বিরের মাথায় ১২ সেলাই লেগেছে। আমরা এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাই।
হামলার বিষয় অস্বীকার করে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ইত্তেফাককে বলেন, আমরা শুনেছি এটি ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। ছাত্রলীগ নিজ থেকে কেন তাদের ওপর হামলা করবে। তারা নিজেদের মধ্যে মারামারিতে লিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের ওপর অভিযোগ করছে।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ছাত্রলীগ সকাল থেকেই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় কাজ করে আসছে। ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী এই ধরনের কোন হামলায় জড়ায়নি। তবে আমরা ছাত্রদলের বিষয়টি শুনেছি। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে নিজেদের মধ্যেই মারামারি করেছে তারা।
হামলার ঘটনা জানতে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমানকে ফোন করা হলে ফোনকলে তাকে পাওয়া যায়নি৷