সুনামগঞ্জে বেড়েছে ভুট্টার আবাদ। কম খরচে বেশি উৎপাদন করতে পেরে ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। পাশাপাশি সার ও বীজ দিয়ে চাষিদের সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বেরীগাও, পাবর্তীপুর, বাঘমারা, ভৈষারপাড়, সাহেবনগর, মুসলিমপুর গ্রাম। এসব গ্রামসহ আশপাশের ৩০টি গ্রাম ঘিরে যতদূর চোখ যায় এখন শুধু ভুট্টার সমারোহ। চারপাশ ঘিরে আছে ছোট-বড় ভুট্টাক্ষেত।
এসব এলাকায় এখন চলছে ক্ষেত থেকে ভুট্টা সংগ্রহের প্রস্তুতি। কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে ভুট্টা শুকিয়ে মাড়াই ও সংরক্ষণের কাজ। সেচ, সার ও কীটনাশক কম লাগায় এবং বাজারে দাম ধানের চেয়ে বেশি থাকায় ভুট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা।
তারা জানান, ভুট্টা চাষ করে ধানের চেয়ে অনেক বেশি লাভ পাওয়া যায়। পাশাপাশি ফলনও হয় বেশি। এতে সবাই এখন ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকছে।
এদিকে প্রতিবিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা ব্যয় হয় বলে জানান সুনামগঞ্জ সদরের সুরমা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিকাশ কুমার তালুকদার। পাশাপাশি এক বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ৪০ মণ ভুট্টা উৎপাদন হয় বলে জানান তিনি।
বিকাশ তালুকদার আরও বলেন, এক বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে ৫০ হাজার টাকা আয় হয়। তবে খরচ হয় মাত্র ৫ হাজার টাকা। এতে লাভ হওয়ায় কৃষকরা ভুট্টা চাষে আগ্রহ পাচ্ছেন।
আর সরকারি প্রণোদনায় কৃষকদের সার ও বীজ দিয়ে ভুট্টার চাষ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, জেলার অনাবাদি জমিগুলোকে আবাদি জমিতে পরিণত করা সম্ভব হলে ভুট্টা চাষ বাড়বে। এতে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর জেলায় ৫৩৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন। যার বাজারমূল্য নয় কোটি টাকা।