সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হলেন চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ড দল। তার আগে দেশে এসে দলের দায়িত্বে বসবেন হাথুরুসিংহে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান কোচ হিসেবে চান্ডিকা হাথুরুসিংহের নাম ঘোষণা করেন। তার আগে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস দলের সহকারী কোচের পদ ছেড়ে দেন হাথুরুসিংহে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি বাংলাদেশে এসে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে পা রাখবে ইংল্যান্ড দল। তার আগেই ঢাকা এসে দায়িত্ব বুঝে নেবেন চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। এ দিকে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই তাকে দায়িত্ব দেয়ায় আপাতত ভিন্ন কোচের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে বিসিবি। এর আগে বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ফরম্যাট অনুযায়ী কোচ নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
তবে সবশেষে শ্রীলঙ্কান হাথুরুসিংহেকেই করা হলো তিন ফরম্যাটের প্রধান কোচ। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এই দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন তিনি। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রথমবার সাকিব-তামিমদের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন ৫৪ বছর বয়সি শ্রীলঙ্কান সাবেক ক্রিকেটার চান্ডিকা হাথুরুসিংহে।
নতুন করে পুরোনো দায়িত্ব পেয়ে হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আমার ভালো লাগে। সেখানে নতুন করে কোচের দায়িত্ব পেয়ে আমি আনন্দিত। এটা আমার জন্য সম্মানের বিষয়। দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছি আমি।’
প্রথম মেয়াদে দায়িত্বে থাকাকালীন অনেক বিতর্কে জড়িয়েছিলেন হাথুরুসিংহে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় কিছু সাফল্য এসেছে সেই মেয়াদকালেই। পরপর তিন ওয়ানডে সিরিজ জয়, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা এবং ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ হয়েছিল হাথুরুসিংহের সময়েই।
তার সময়ে ওয়ানডের পাশাপাশি টেস্টেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিল বাংলাদেশ টিম। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়ে সেই সফলতার পথকে কতটুকু এগিয়ে নিতে পারেন, সেটিই এখন সময়ের অপেক্ষা।