কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে দিনে শীত কিছুটা কমলেও রাতে হিমেল হাওয়ায় সবার জবুথবু অবস্থা। এমন বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। এতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২টি শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৫ রোগী। এদের মধ্যে বয়স্ক রোগী চারজন। এ ছাড়াও শিশু ওয়ার্ডে ৪৮টি শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৭৮ এবং জেনারেল ওয়ার্ডে ৭৮টি শয্যার বিপরীতে ভর্তি হয়েছেন ২০০ রোগী বলে জানান কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাদেকুর রহমান।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সন্তানের চিকিৎসা নিতে আসা আছমা বেগম জানান, আমার সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু কোনো শয্যা পাইনি। মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছি।
কুড়িগ্রাম সদরের হাসপাতাল পাড়া এলাকার আয়নাল হক জানান, এ বছর বেশি মাত্রায় শীত পড়লে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। আমরা গরিব মানুষ কষ্টে দিনযাপন করছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের কৃষি পর্যবেক্ষক তুহিন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।
এদিকে শীত শুরুর পর থেকে জেলা প্রশাসন থেকে সরকারিভাবে প্রথম দফায় ৩৮ হাজার ও দ্বিতীয় ধাপে ২৫ হাজার কম্বল শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।