ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুটি ম্যাচের মধ্যে তবুও একটিতে জয় ছিল। কিন্তু চট্টগ্রামে আরো হতশ্রী অবস্থা ঢাকা ডোমিনেটরসের। দুই ম্যাচে দুটিতেই পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে নাসির হোসেনের দলের। এ পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলে তিন পরাজয়ের বিপরীতে একটি মাত্র জয়। এমন পারফর্মেন্স নিয়ে তাই পয়েন্ট টেবিলের শেষের দিকে অবস্থান ঢাকার।
বিপিএলে এবারের উইকেট অন্যবারের তুলনায় ব্যাটিং বান্ধব। সিলেট-বরিশালসহ অন্য দলের ব্যাটাররা উইকেটের সুবিধা নিয়ে রান করে যাচ্ছে প্রতি ম্যাচে। সেখানে ব্যর্থ ঢাকার টপ অর্ডাররা। সোমবার সিলেটের বিপক্ষে হারের পর এ বিষয়টিকেই সামনে আনলেন ঢাকা ডোমিনেটর্সের অধিনায়ক নাসির হোসেন। ব্যাটে বলে অলরাউন্ড পারফরম করলেও দলের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বারবার হারতে হচ্ছে দলকে। এমনটিই মনে করেন নাসির।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটারদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করান ঢাকার কাপ্তান। তবে ভালো বোলিং করায় এ সময় দলের বোলারদের কৃতিত্ব দেন নাসির। ঢাকার অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডার ঠিক মতো রান পাচ্ছে না। যেমন ধরেন সিলেট, তাদের টপ অর্ডার ভালো করছে। কিন্তু আমরা সেটা পারছি না। ১০ ওভারে কয়েকটি উইকেট চলে যাওয়ার পর ওখান থেকে ১৬০-১৭০ করা কঠিন। ওভার অল বোলিং সাইডটা যদি দেখেন অনেক ভালো করেছে। বিশেষ করে তাসকিন অনেক ভালো বোলিং করছে।’
দলের টপ অর্ডাররা যেখানে ব্যর্থ সেখানে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও ভালো ফর্মে আছেন নাসির হোসেন। তাই ম্যাচ জয়ে নিজের দায়িত্ব বেশী বলে মনে করেন ঢাকার অধিনায়ক। বলেন, ‘একদিন সবাই রান পাবে না। আমি ভাল একটা রিদমে আছি। তাই আমার দায়িত্ব বেশি। আশা করি সামনের ম্যাচ গুলোতে আরো ভাল হবে।’
তবে সোমবারে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লার বিপক্ষে ম্যাচে ৪ রানে থাকা মুশফিকের এলবিডব্লিউ না পাওয়াটাও পরাজয়ের একটি কারণ বলে মনে করেন নাসির। এ বিষয়ে ঢাকার অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের (ঢাকা) ইনিংসের খুব অল্প সময়ে দ্রুত ৩ উইকেট হারানো ম্যাচে পরাজয়ের একটি কারণ। পাশাপাশি আরেকটি বিষয় মুশফিক ভাইয়ের আউট না পাওয়াটা। সেটা পেলে হয়তো ম্যাচের রেজাল্ট টা ভিন্ন হতে পারত।’
প্রসঙ্গত এদিন (সোমবার) ঢাকার বিপক্ষে জয়ের জন্য ১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা কুমিল্লার ৬৮ রানের মাথায় আরাফাত সানির বলে পরাস্ত হয়ে প্যাডে লাগলেও মুশফিকের বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন নাকচ করে দেন আম্পায়ার। যদিও রিভিউতে দেখা যায় স্ট্যাম্পের ভিতরেই ছিল বল। কিন্তু ভিডিও দেখে অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন টিভি আম্পায়ার রাভেন্দ্র উইমালাসিরি। ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া সিলেটের ব্যাটার মুশফিক সেসময় ৪ রানে ব্যাট করছিলেন। মুশফিকের আউট না পাওয়ায় সেখানেই শেষ হয় ঢাকার ম্যাচ জয়ের সুযোগ। এরপর মুশফিক আউট হওয়ার আগে আরো ২৩ রান যোগ করে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান।