বেনাপোলে গত আট মাসে যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৫ কেজি স্বর্ণ এবং বিপুল অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করেছে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা। এসব অভিযানে আটক করা হয়েছে ৩১৮ জনকে।
যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা ও বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শার্শা সীমান্ত থেকে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অভিযানে গত আট মাসে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মাদকের মধ্যে রয়েছে ১৩টি বিদেশি পিস্তল, ২৪টি ম্যাগজিন, ৫৮টি গুলি, ২০ হাজার ৮২৭ বোতল ফেনসিডিল, ৫৪৭ কেজি গাঁজা, ৪০৬ বোতল দেশি-বিদেশি মদ, ৫৬৭ পিস ইয়াবা ও ৪০ গ্রাম হেরোইন। এছাড়া এ সময়ে ২৫.৪১ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র, মাদক ও স্বর্ণের সিজার মূল্য ১৭ কোটি ৭৫ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এসময়ে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ২০৩ জনকে আটক করে বিজিবি।
এদিকে, বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের অভিযানে উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৩ হাজার ৬১৭ বোতল ফেনসিডিল, ১২৬ কেজি গাঁজা, ১ হাজার ৪৭৪ পিস ইয়াবা, ৩০ লিটার মদ ও ৩০ গ্রাম হেরোইন। এসময় মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ১১৮ জনকে আটক করা হয়।
অপরদিকে, শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত এলাকার সচেতন নাগরিকেরা জানান, প্রায় প্রতিদিনই শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে স্বর্ণ, অস্ত্র ও মাদকসহ পাচারকারীরা আটক হচ্ছেন। কিন্তু চোরাচালানের মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় বন্ধ হচ্ছে না এসব অবৈধ ব্যবসা।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা জানান, চোরাচালানের মূল হোতারা নিজেরা স্বর্ণ, অস্ত্র, অবৈধ অর্থ ও মাদকসহ চোরাই পণ্য বহন করেন না। এ কারণে তাদের হাতেনাতে আটক করা সম্ভব হয় না। তবে কোনো কোনো সময় বহনকারীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে মূল হোতাদের আটক করে জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে যান।