সাতক্ষীরা সংবাদদাতা:
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর সহ উপকূলীয় এলাকায় স্থায়ী বেড়ীবাঁধ নির্মাণ ও সাতক্ষীরা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ২৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা নিউ মাকের্ট চত্বরে অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে প্রথম আলো বন্ধুসভা, সাতক্ষীরা’র সভাপতি জাহিদা হাসান মৌ এর সভাপতিত্বে ও প্রথম আলো বন্ধুসভা সাতক্ষীরা’র সহ সভাপতি মোঃ হোসেন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিনিধি কল্যাণ ব্যানার্জী, এটিএন বাংলার নিজস্ব প্রতিনিধি এম. কামরুজ্জামান, ডেইলি সাতক্ষীরা’র সম্পাদক ও নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরা’র দপ্তর সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, প্রথম আলো বন্ধুসভা, সাতক্ষীরা’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাবেক সভাপতি রাশিদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম হোসেন, রাহাদ খান বাপ্পা, পল্লবী সরকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আম্ফানের ৩ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো উপকূলীয় এলাকার ভেঙ্গে যাওয়া বেড়ীবাঁধ গুলো নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। ৬০ দশকের পর থেকে উপকূলের জরাজীর্ণ বেড়ীবাঁধ গুলোতে শুধু মাটি দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে। যে কারণে দূর্যোগ হলেই উপকূলীয় এলাকার মানুষের দুঃখ কষ্টের শেষ থাকে না। আস্ফানে ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে আশাশুনির প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আনুলিয়া, শ্যামনগরের গাবুরা, পদ্মপুকুর ও কাশিমাড়ী ইউনিয়নের মানুষ প্রায় ৩ মাস পানি বন্দি আছে, তার উপর সম্প্রতিক কয়েকদিনের টানা বর্ষণে আরো কয়েকটি স্থান ভেঙ্গে, প্রতাপনগর শ্রীউলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হওয়ার ফলে, এলাকায়, মানুষ মারা গেলে তাদের দাফনও করতে পারছে না। দাফন করতে নিয়ে যেতে হচ্ছে অনাত্র।
এই দূর্ভোগের মূল কারণ পানি উন্নয়ণ বোর্ডের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের লুটপাট। বেড়িবাঁধের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও উপকূলে টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হওয়ার কারণে অতিকষ্টে দিন কাটে সেখানকার মানুষের। আমাদের একটাই দাবি উপকূলে টেকসই বেড়ীবাঁধ। অতিদ্রুত যাহাতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থানী বেড়িবাঁধ নির্মিত হয় সে লক্ষে, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।