সুপার সাইক্লোন আম্পানের শক্তি ২০০৭ সালের সিডর ও ১৯৯১ সালের ঘুর্নিঝড়ের চেয়ে ভয়ংকর হতে পারে বলে ধারনা করছে বিশেষজ্ঞরা। এটি উপকূলে আঘাত হানলে হতে পারে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি। তার সঙ্গে শরীরিক দূরত্ব ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে ছড়াতে পারে করোনার সংক্রমণও।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বুধবার ভোরে খুলনা হয়ে চট্টগ্রামের উপকূলে আঘাত হানবে আম্পান।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর তুলনায় বেশি শক্তিশালী মনে হচ্ছে আম্পানকে। শক্তি ও গতি-প্রকৃতি পর্যালোচনা করে এ সাইক্লোনকে সিডরের চেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করছেন তারা। তবে সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি হবে বলেও ধারণা তাদের।
আবহাওয়াবিদ ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, এটার শক্তিশালী সিডরের মতো। তবে দেখা যাচ্ছে সুন্দবনের ওপর দিয়ে গেলে কম বাতাস পাব।
জলবায়ুবিদ ও বুয়েট শিক্ষক বজলুর রহমান বলেন, এ ধরনের সাইক্লোন আমরা দেখেছিলাম ভোলা বা ১৯৯১ বা সিডরে। ৪ থেকে ৬ মিটার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
সুপার সাইক্লোন আম্পান ক্রমে শক্তি থেকে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আম্পান আঘাত হানলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ১০ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে এবং বাতাসের গতিবেগ প্রতিঘণ্টায় ১৪০-১৬০ কিলোমিটার হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে এখনো পূর্বের সংকেতই অব্যাহত আছে, তবে দুএক ঘণ্টার মধ্যে মহাবিপদ সংকেত আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এছাড়া শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই আম্পান মোকাবিলার যথাযথ প্রস্তুতি রয়েছে বলে দাবি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর।
এদিকে সুপার সাইক্লোন আম্পান আরও এগিয়ে এসেছে, দুপুর নাগাদ গতিপথ কিছুটা স্পষ্ট হবে। আরো পড়ুন :ক্রমশই মারাত্মক থেকে অতি ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান