জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহে বাঁক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হযেছে, থানায় মামলার পরে আদালতে ধর্ষক স্বীকারক্তি প্রদাণ করেছে।
ঝিনাইদহ শহরের উপশহর পাড়ায় বাঁক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় মেয়েটির বাবা মো: পান্নু মিয়া (৩৮),বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। যা ঝিনাইদহ থানার মামলা নং-১৭ তারিখ ১৫/০৫/২০২০, জি আর নং- ২১০/২০,ধারা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০( সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১)।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঝিনাইদহ উপশহরস্থ আলমগীরের বাড়ির ভাড়াটিয়া মনির হোসেন (৫০), বাদীর মেয়েকে ধর্ষণ করেন। মনির হোসেন ও পান্নু মিয়া একই বাসার ভাড়াটিয়া ও সম্পর্কে চাচা ভাতিজা। ধর্ষক মনির হোসেন দক্ষিণ টেপা খোলা গ্রামের মৃত আব্দুল গনি বেপারীর ছেলে।
বাদীর মেয়ে ১৩/০৫/২০২০তারিখ দুপুর অনুমান ১:০০ ঘটিকার সময় বমি বমি ভাব করে। তখন বাদীর স্ত্রী নার্গিসের সন্দেহ হলে ঔষুধের দোকানে গিয়ে গর্ভবতী কি না পরীক্ষা করার “কুইক চেক” আনে। পরীক্ষার পরে দেখা যায় বাদীর মেয়ে গর্ভবতী। তখন বাদী ও বাদীর স্ত্রী তার বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ইশারার মাধ্যমে জানতে চাইলে তার মেয়ে ইশারার মাধ্যমে তাদের জানাই যে উক্ত আসামি মনির হোসেন গত দুই মাস পূর্বে দুপুর ১:০০ ঘটিকার সময় তাকে মোবাইল ফোনে লুডু খেলার কথা বলে ডেকে মনির হোসেন তার ভাড়া বাসার মধ্যে নিয়ে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন প্রকার নগ্ন ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে আমার মেয়ের সাথে দৈহিক মেলামেশা করে।
আসামীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে আসামি স্বীকার করে গত ইংরেজি ১২/০৩/২০২০ তারিখ দুপুর ১:০০ ঘটিকার সময় ভ্যান চালিয়ে বাসায় এসে দেখি আমার স্ত্রী বাসায় নেই সেই সুযোগে বাদীর মেয়েকে মোবাইল ফোনে লুডু খেলার কথা বলে ঘরের মধ্যে নিয়ে দুইবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ধর্ষক মনির মিয়া কে গ্রেপ্তার করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আসামি বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানা যায়। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি বলেন ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে আসামীকে গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান।