চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখা ও বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত হয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ রোগীরা অন্যান্য রোগের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে প্রতিদিন সামান্য সময়ে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার সকালে নিজের সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এই আহ্বান জানান ।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের জীবনের পাশাপাশি অর্থনীতির চাকা সচল রাখতেই সাধারণ ছুটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ সিদ্ধান্ত সময়োগযোগী।
সুতরাং যারা এ সিদ্ধান্তকে ভুল মনে করছেন, তাদেরকে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা এবং অন্যান্য দেশের দিকে তাকিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ করছি, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
এ পর্যন্ত সরকার ৪ কোটি মানুষ ত্রাণ পেয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকারের দেওয়া ত্রাণ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। এ নিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা, দেশের যেকোনো দুর্যোগে সবার আগে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছে অসহায় মানুষের পাশে। দুর্যোগকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনার এই সংকটে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ও এক কোটি মানুষকে রেশনের আওতায় আনা হয়েছে। ৫০ লাখ মানুষকে নগদ সহায়তা প্রদান সমসাময়িক বিশ্বে নজিরবিহীন।
সরকার কঠোর অবস্থানে আছে বলেই সামান্য অপরাধ করলেও কেউ রেহাই পাচ্ছে না আর ত্রাণ কার্যক্রমে অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সব অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনগত, প্রশাসনিক ও দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ তারই প্রমাণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত এক দশকে বাংলাদেশ যেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সক্ষমতা অর্জন করেছে, তার কারণেই এই সংকটকালে এত বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা ও ত্রাণ সহায়তা প্রদান সম্ভব হচ্ছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ঈদে অনলাইনে শপিং করারও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।