আজহারুল ইসলাম সাদী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ করোনা পরিস্থিতির এই ঝুকির মধ্যে সাতক্ষীরায় আজ থেকে খুলে দেয়া হয়েছে সকল শপিংমলগুলি,এর ফলে সাতক্ষীরা শহর ফিরে পেয়েছে তার পুর্বের চিরচেনা রুপ।
শহরের অধিকাংশ সড়ক এখন রিক্সা, ভ্যান ও ইজিবাইকদের দখলে। শহরের অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ সড়ক গুলোতে দেখা গেছে অন্যান্য দিনের তুলনায় ক্রেতাসাধারণের উপচে পড়া ভিড়। এর ফলে মানা হচ্ছেনা সামাজিক দূরত্বতা। এতে সাতক্ষীরার সচেতন মহলের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। যদিও, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য ইতিমধ্যে ৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সচেতন মহলের নানা অভিযোগ তারা ক্ষোভের সাথে বলেন সাধারন মানুষ সামাজিক দূরত্ব না মেনে শহরে চলাচল করছেন এবং কেনা কাটা করছেন। এর ফলে করোনা ভাইরাস আরো বেশী সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় নতুন সনাক্ত হয়েছে, ৮৮৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের- যার ফলে সচেতন মহলের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
তারা আরো জানান, সরকার অর্থনীতির চাকা চালু করার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও সাধারন মানুষ কিন্তু সামাজিক দূরত্ব মানছেননা। মানুষ যদি সামাজিক দূরত্ব এবং সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে শহরের চলাচল করতেন তাহলে করোনা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থকতো না।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, শপিংমলসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা, ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের মাস্ক পরা, হ্যান্ডগ্লাভস ব্যবহার করা, চার ফুট দুরত্বে ক্রেতাদের অবস্থান নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়াসহ ৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই ৮ দফা নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আগনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তিনি আরো জানান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেটদের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং করার ব্যবস্থা ও রাখা চলমান রয়েছে, তারা তদারকি করছেন কোথাও আইন অমান্য করা হচ্ছে কিনা?
কিন্তু বড়ই হকাশার বিষয় হলো সাতক্ষীরা শহরের অধিকাংশ এলাকায় সামাজিক দুরত্বতা না মানা হলেও প্রশাসনিক ভাবে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? ফলে ঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে রয়েছে শতভাগ।