মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা (বান্দরবান): বান্দরবানের লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে লামা বন বিভাগ। বৃহস্পতিবার (০৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বন বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি ও লামা বন বিভাগের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে চেক তুলে দেন।
এই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান, লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ নুরে আলম হাফিজ, লামা বন বিভাগের প্রধান সহকারী কাজী গোলাম সরোয়ার, লামা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ নুরে আলম হাফিজ জানান, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বড়ছনখোলা এলাকায় বন্য হাতির হামলায় মো. নুরুল ইসলামের মৃত্যু হওয়ায় তার স্ত্রী খুইল্যা খাতুনকে ১ লক্ষ টাকা, একই এলাকার মো. ইসমাইল এর ছেলে মো. নুরুল আলমের ফসলের ক্ষতি হওয়ায় কারণে তাকে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
লামা বন বিভাগের প্রধান সহকারী কাজী গোলাম সরোয়ার বলেন, একই সাথে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি এলাকায় বন্য হাতির আক্রমণে মৃত্যুবরণ করা মাচিং অং মার্মার স্ত্রী হ্লামে মার্মাকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস. এম. কায়চার জানান, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বন্য হাতির আক্রমণে নিহত ও ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত ৩ পরিবারকে মোট ২ লাখ ২৫ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি বলেন, সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সরকার বন্যপ্রাণীর আক্রমণে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের ঘোষণা দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আজ আমি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চেক তুলে দিতে পারায় খুবই ভাল লাগছে। তিনি বন্য প্রাণী নিধন না করে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।