আন্তর্জাতিক ডেক্স: উত্তর কোরিয়ার সরকারের মধ্যে বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করতে প্রেসিডেন্ট কিম জং উন নিজের মৃত্যুর গুজব নিজেই ছড়িয়েছেন। এই মৃত্যুর গুজবের মাধ্যমে বিশ্বাসঘাতকদের চিনতে পেরেছেন কিম। সে এই সময়ে দেখতে চেয়েছেন যে তার জায়গায় কে ক্ষমতা নিতে চায়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি জেমস মরো এমনটা দাবী করেন।
জেমস মরোর ধারণা, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এসেক্সের প্রফেসর নাতাশা লিন্ডস্টায়েডটি বলেন, আমি ধারণা করছি খুব শিগগিরই কিছু মানুষকে শাস্তির আওতায় আনা হবে উত্তর কোরিয়ায়। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বেশ কিছু সরকারি বেশ কিছু কর্মকর্তাকে ভয়াবহ শাস্তি দিতে পারেন বলেও আশঙ্কা করছেন প্রফেসর নাতাশা লিন্ডস্টায়েডটি।
মৃত্যুর গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে গত শুক্রবার প্রায় ২০ দিন পর জনসম্মুখে আসেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। ওইদিন রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছে সানচিয়নে একটি সার কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হন কিম। এর আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে সংবাদ প্রকাশ করে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম। কিমের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করে অনেক সংবাদ মাধ্যম।
এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছিল হংকং টিভি। যদিও এই দাবির স্বপক্ষে বা বিপক্ষে তখন কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি উত্তর কোরিয়া বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার শাসকের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে পিয়ংইয়ংয়ে চিকিৎসক প্রতিনিধি দলও পাঠিয়েছে চিন।
কিছুদিন আগে অস্ত্রোপচার হয় কিম জং উনের। তার পর থেকেই মধ্য তিরিশের নেতার শরীর ভালো যাচ্ছে না বলে খবর প্রকাশ হয় । এরমধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছিল, সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন কিম জং উন।
এমন সময়েই হংকং টিভিতে সম্প্রচারিত, ‘প্রয়াত হয়েছেন কিম জং উন।’ এমনকী উত্তর কোরিয়ার শাসকের মৃতদেহ শায়িত রয়েছে, এই ছবিও দেখা গেছে হংকং টিভিতে। যদিও এর সত্যতা প্রশ্ন উঠেছিল। পরিস্থিতির উপর নজর রাখলেও কিমের প্রয়াণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ওয়াশিংটন বা ট্রাম্প প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, অত্যধিক ধূমপান, স্থূলতা-সহ বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন কিম জং উন। তার উপর ছিল মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপ। এর জেরেই হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার এবং তারপর থেকেই গুরুতর অসুস্থ কিম জং উন । গত দু’সপ্তারে বেশি সময়ে তাঁকে জনসমক্ষে দেখা যাওয়াতে গুজবটা খুব বেশী ছড়িয়েছিল।