দেশ যখন মহামারীতে বিপর্যয়ে পড়ে তখন আওয়ামী লীগ আলাদিনের চেরাগ পেয়ে যায়। তাদের ভাগ্য খুলে যায়। জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ আত্মসাৎ করে নিজেদের পকেট ভারি করছে আর মানুষ না খেয়ে হাহাকার করছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। আজকে গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতা নেই বলেই সরকার এসব অন্যায় অনিয়ম করতে পারছে।
শনিবার রাজধানীর উত্তরখান থানায় ত্রাণ বিতরণের সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন। ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের উদ্যোগে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, করোনা মহামারীতে সরকারের যে প্রস্তুতি নেয়া দরকার ছিল তা সরকার গ্রহণ করেনি। তারা নিজেদের অন্য কাজে ব্যস্ত ছিল। প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের লকডাউন আগে করা উচিত ছিল। এবং বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দেয়া দরকার ছিল। কিন্তু তারা তা করেনি।
তিনি আরও বলেন, আগাম প্রস্তুতির কারণে ভিয়েতনাম, ভুটানসহ অন্যান্য দেশে করোনা আক্রমণ ঘটাতে পারেনি। আমাদেরও যথেষ্ট সময় ছিল। কিন্তু সরকার অন্য জায়গায় মনোযোগ দেয়ায় দেশে এখন মহামারী আকার ধারণ করছে।
রিজভী বলেন, খুলনা ও নেত্রকোনাসহ বহু জায়গায় টিসিবির পণ্য কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা টিসিবির কাছ থেকে জোর করে নিয়ে তারা কালোবাজারে বিক্রি করছে। টাকা আত্মসাৎ করছে। আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ঘরের মধ্যে, খড়ের পালার মধ্যে চাল, খাটের মধ্যে তেল পাওয়া যাচ্ছে। জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান মেম্বার এবং আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মসাৎ করছেন।