২৮/১১/২০২৩
১২:১৬ অপরাহ্ণ
সরকার ও কয়েক বিচারক মিলে বিএনপি দমনে নেমেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির আইনজীবী নেতারা। ঢালাও সাজা দেয়া থেকে বিরত রাখতে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা। সম্প্রতি সময় সংবাদকে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা।
তবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন বলেছেন, সুর্নিদিষ্ট অভিযোগে মামলা ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই সাজা হচ্ছে নাশকতাকারীদের।
বিএনপির হিসেবে, গত দেড় মাসে ৫৮২ জন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন দেশের আদালত। যদিও ২০১৩ ও ২০১৮ সালের নাশকতার মামলায় দণ্ড হওয়া অধিকাংশ নেতাকর্মী পলাতক রয়েছেন।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দলটির আইনজীবী নেতারা বলছেন, দণ্ডিত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সক্রিয় ও সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যাই বেশি। শুধু তাই নয় এক ডজন শীর্ষ নেতাদের মামলার বিচার রয়েছে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এরমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের দুর্নীতির মামলার রায়ের দিন ধার্য রয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)।
দলটির আইনজীবীদের দাবি, পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে তড়িঘড়ি করে মামলা নিষ্পত্তি করছেন বিচারকরা।
কিছু কিছু আদালত হয়ত আইনমন্ত্রণালয়ের অনেক চাপে আছেন। অথবা তাদের দায়বদ্ধতা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সাজা দিচ্ছেন নির্বাচারে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন,
বিচার বিভাগ সম্বন্ধে জনগণের মধ্যে ভিন্ন একটা ইঙ্গিত যাচ্ছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত, নিম্ন আদালতে যা হচ্ছে।
নির্বাচনের আগে বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের সমালোচনা করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা বলেন, নাশকতার সুর্নিদিষ্ট অভিযোগে মামলা ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই সাজা হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের।
অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন আরও বলেন,
বিরোধীদের ডাকা হরতাল-অবরোধে মানুষের গাড়ি পুড়ছে, জানমালের ক্ষতি হচ্ছে-যারা এগুলো করছে, তাদের যদি পুলিশ গ্রেফতার করে তো, করবেই। সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া আমাদের দেশে, প্রচলিত আইনের ব্যবস্থায় কোনোভাবেই কোনো বিচার করা সম্ভব না। মামলা ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই সাজা হচ্ছে।
এইচআরডব্লিউ রিপোর্ট বাস্তবতা বিবর্জিত বলেও দাবি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
পোস্টটি যতজন পড়েছেন : ১৭