নিজস্ব প্রতিবেদন: সারাবিশ্বে এখন একটাই রব। কভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাস। ওয়ার্ল্ডওমিটারের দেয়া তথ্য মতে, সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে সংক্রমনিত হয়েছন ২৮,২৬,৯৫১ জন। প্রাণহানী ১, ৯৬, ৯৪৭ জনের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশ থেকে প্রথম করোন চিহ্নিত হওয়ার পর তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। পৃথিবীর অনেক দেশ এটি প্রাকৃতিগত ভাইরাস হিসেবে মানতে নারাজ, সবার সন্দেহের তীর চীনের দিকে। প্রত্যেকের মতে বৈশ্বিক ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ নিতে এটি চীনের পরিকল্পিত হামলা। এই ভাইরাসটি তারা নিজেদের ল্যাবে আবিস্কার করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। ইতোমধ্যে অনেক দেশে ব্যাক্তিপর্যায়ে চীনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন।
অভিযোগ কারী দেশগুলির মধ্যে সবচেয় সবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্টে মৃত্যু এবং প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনা আমাদের প্রয়োজন। এ সময় পম্পেও চীনের তথ্য গোপনের দাবি করে বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকেই কভিড-১৯ বিষয়ে জানতো চীন। এ ভাইরাস চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে উৎপত্তি হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে। আর এটি নিশ্চিত করার লক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে ।
পুরো বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিপর্যস্ত উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কূটনীতিকভাবে আমরা সব দেশের সঙ্গে কাজ করছি যাতে তারা সঠিক কাজ করে। যাতে তাদের অর্থনীতি আবার চালু হয়। উহান থেকেই করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি এটি নিশ্চিত করার জন্য আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করছি। বৈশ্বিক মহামারির এমন পরিস্থিততে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ব্যর্থ হয়েছে বলেও সাক্ষাতকারে দাবি করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অন্যদিকে করোনা নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান প্রত্যাখান করেছে চীন। চীনের শীর্ষ কূটনীতিক চেন ওয়েন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এমনটি জানান।
বিবিসিকে চেন ওয়েন বলেন, এই দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এতে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে চীনের মনযোগ সরে যাবে।
চীনের দাবি, উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারে বাজার থেকে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। এটিতে চীনের কোন হাত নেই। চীনের প্রতি অভিযোগ তারা দৃঢ়ভাবে অস্বিকার করে আসছে প্রথম থেকেই। তারা প্রথম থেকেই বলে আসছে, চীনের কোন ল্যাব থেকে নয় খাবার তেকে ছড়িয়েছে কভিড-১৯।তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের বিশ্বাস করোনা নিয়ে বিশ্বে ভুল তথ্য দিচ্ছে চীন।