নিজস্ব প্রতিবেদন : ইতালিতে পুনরায় বৃদ্ধি পেযেছে করোনায় মৃতের সংখ্যা। দেশটিতে শুধুমাত্র ২৩ এপ্রিল ২০২০ মারা গেছেন ৪৬৪ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার।
এদিকে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সারা বিশ্বে মৃতের মিছিল যেন থামছে না। এখন অবধি বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন এক লাখ ৯১ হাজার ৫৫ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ২৭,২৫,৩৯১ জন।
২৪ এপ্রিল২০২০ শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে । ইতোমধ্যে ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ।
এদিকে সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭,৪৫,৮২০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৭,৮৮ ,৫১৬ জন। এদের মধ্যে ১৭,২৯,৮৩৮ জনের শরীরে কম সংক্রমণ থাকলেও ৫৮,৬৭৮ জনের অবস্থা সংঙ্কটময়।
ভাইরাসটির সংক্রমণ সবচেয়ে বেশী যুক্তরাষ্ট্রে । এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪২ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৫০ হাজার ২৩৬ জন।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৫৪৯ জনের মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৩ জন।
মৃত্যুর হিসাবে ইতালির পরের অবস্থানেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এ দেশটি। মোট আক্রান্ত ২ লাখ ১৩ হাজার ২৪ জন।
মৃত্যুর তালিকার চার নম্বরে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ৮৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৮৩ জন।
ফ্রান্সের পরের অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮ জন। এদিকে জার্মানিতে ১ লাখ ৫৩ হাজার ১২৯ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৫৭৫ জনের।
ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৭৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩২ জন।
এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ হাজার ২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৪৮১ জন।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৮৬ জনের। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১২৭ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০৮ জন।তথ্য সূত্র : কভিড-১৯ ম্যাপ