করোনা সংকটকালে কৃষিশ্রমিক ও অর্থ অভাবে পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকরা। কালবৈশাখির মৌসূমে যে কোন সময় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির কারণে পাকা ধান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় দুঃচিন্তাগ্রস্থ চাষীরা । তবে কৃষকের এই দুশ্চিন্তা নিমিষেই দূর করে দিলেন চট্টগ্রামেরই সন্তান বাংলাদেশ সরাকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ড. হাছান মাহমুদের নির্দেশে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ধান কাটতে কৃষককে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিযেছেন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ এবং সেচ্ছাসেবক লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকের ধান কেটে দিতে কৃষকলীগের নেতৃত্বে যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং সেচ্ছাসেবক লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নেতাকর্মীরা বলেন, চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি মহোদয় যেকোনো মানবিক সঙ্কটে সাধারণ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। এই দুর্যোগে মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন কৃষকের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে কাজ করতে। তাই আমরা সমন্বীত উদ্যোগে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার কায়িকশ্রম করে যাচ্ছি।
এছাড়া কৃষক লীগের সভাপতি সমির চন্দ গণমাধ্যমকে জানান, করোনাভাইরাসের সংকটের মধ্যে সারাদেশে শ্রমিক সংকটের থাকা চাষীদের জমিতে গিয়ে বোরো ধান কাটায় সহযোগিতা করবেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের নেতা-কর্মীরা।তাই সহযোগিতা চাইতে দেশজুড়ে চাষীদের জন্য অঞ্চলভিত্তিক ১০টি হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে ।
তিনি বলেন,“শুধু ধান কাটা নয়, কৃষকের যে কোনো সমস্যার সমাধান এ হটলাইনের মাধ্যমে করা হবে”
অঞ্চলভিত্তিক হটলাইন নম্বরগুলো হল – ০১৭১১৩৩১০৭২ (সিলেট),০১৭৩২১৭০৫৫৫ (কুমিল্লা), ০১৭১১১৪০২১৬ (চট্টগ্রাম), ০১৭১১২৬১৮৩৩ (রংপুর), ০১৭১১৪৪২২১৩ (বরিশাল), ০১৭১২০৯২৭৫৬ (ফরিদপুর), ০১৭১৪২২০৫৬৩ (রাজশাহী), ০১৭১১৩২৯০৪৪ (ঢাকা), ০১৭১৬৭১৬২০১ (খুলনা), ০১৭১৬৭০৭৭০ (ময়মনসিংহ)।
আরো পড়ুন : ছাত্রলীগের মাথায় করে কৃষকের বাড়ী যাচ্ছে সোনার ফসল
কৃষক লীগ সভাপতি বলেন, সংগঠনের জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গেও যোগাযোগ করে সহযোগিতা চাওয়া যাবে।
এছাড়া প্রতি জেলা কমিটিতে কৃষকের ধান কাটা ও সহায়তার জন্য ১০০ জনের স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে বলেও তিনি জানান।