২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিউজ ডেস্ক

ইসরাইলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার

ফিলিস্তিনের গাজায় সংঘাতের জেরে ইসরাইলকে আর প্রাণঘাতী অস্ত্র কিংবা সরঞ্জাম রপ্তানি না করার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা।

মঙ্গলবার কানাডার পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী মেলানি জোলি এসব কথা বলেন। খবর  এএফপির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মার্চ মাসের শুরুর দিকে কানাডার পার্লামেন্টে একটি অভিযোগ জমা দেন দেশটির আইনজীবীদের একাংশ এবং ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কানাডীয়রা। তারা বলেন, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান চলমান থাকাবস্থায় দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি করা কানাডার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। পরে অভিযোগটি আমলে নিয়ে সোমবার একটি রেজুলেশন পাশ করে দেশটির পার্লামেন্ট।

রেজুলেশনে বলা হয়, কানাডা ইসরাইলে সামরিক যোগাযোগ সরঞ্জাম বা এই জাতীয় সরঞ্জাম ব্যতীত কোনো প্রকার প্রাণঘাতী অস্ত্র কিংবা সরঞ্জাম পাঠাবে না। একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ফিলিস্তিন ও ইসরাইল নামের দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়েছে রেজুলেশনে।

এদিকে রেডিও কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইসরাইলে ২ কোটি ১০ লাখ কানাডিয়ান ডলার এবং ২০২১ সালে ২ কোটি ৬০ লাখ কানাডিয়ান ডলার সমমূল্যের সমরাস্ত্র রপ্তানি করেছে দেশটি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরাইলের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় হামাস। ওই দিন ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি হত্যার পাশপাশি আরও প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে আসে তারা।

হামাসের ওই হামলার পর গাজায় অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ইসরাইলি অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩২ হাজার নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

স্বাধীনতা পদক পেলেন শিল্পপতি আবদুস সালাম

শিল্পোন্নয়নে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মহান ‘স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা পদক-২০২৪ পেলেন এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুস সালাম।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে বিশিষ্ট শিল্পপতি আবদুস সালামের হাতে পদক তুলে দেন চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় চট্টগ্রামের আরও ৯ জনকে চসিক স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা পদক দেওয়া হয়েছে।

মোহাম্মদ আবদুস সালাম আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অফ লুইজিয়ানায় গ্রাজুয়েশন শেষ করে ১৯৮৫ সালে বাবা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবু তাহের সওদাগরের ব্যবসায় যোগ দেন। ১৯৯২ সালে ক্ষুদ্র কারখানা তৈরি করে তিনি ব্যবসা শুরু করেছিলেন। ব্যবসাটি আজ দেশসেরা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এই শিল্পপতি প্রতিষ্ঠিত ২১টিরও বেশি কারখানায় বর্তমানে কাজ করছেন ৩৫ হাজার কর্মী।

বর্তমানে আবদুস সালাম দায়িত্বপালন করছেন বিজিএমইএ ফোরামের সভাপতি, চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি (সিবিইউএফটি)’র ভাইস চেয়ারম্যান (ট্রাস্টি বোর্ড) হিসেবে।

অন্যদিকে, তিনি বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি বোর্ড মেম্বার, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, চিটাগং চেম্বার অফ কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিটাগং ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্বপালন করেছেন।

চসিক স্বাধীনতা পদক পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় আবদুস সালাম বলেন, এই পুরস্কারের জন্য চসিক এবং চসিক মেয়রের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ আমরা যারা কাজ করছি-পরিশ্রম করছি তারা আমাদের কাজের মূল্যায়ন দিয়েছেন। আমার জন্য আজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই জন্য যে আজ থেকে ১০ বছর আগে আমার পিতা মরহুম আলহাজ আবু তাহের সওদাগরকেও সিটি করপোরেশন একুশে সম্মাননা দিয়েছিলেন। পুরস্কার দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে আরও ভালোকরে কাজ করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ভিশন দেখাচ্ছেন তা বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

এমভি আব্দুল্লাহকে মুক্ত করতে আল্টিমেটাম : মুক্তিপণ প্রশ্নে সবাই চুপচাপ

দিন যাচ্ছে কিন্তু কোনো সমাধান হচ্ছে না। নানা উদ্যোগ নিলেও এখনো সুফল পাওয়া যায়নি। এদিকে জাহাজে থাকা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি শেষের পথে। আব্দুল্লাহকে মুক্ত করতে আল্টিমেটাম দিয়েছে সোমালিয়ান পুলিশ।

জলদস্যুদের হাতে পণবন্দী বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে মুক্ত করতে আল্টিমেটাম দিয়েছে সোমালি পুলিশও। দেশটির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পাটল্যান্ড পুলিশ বিভাগ বলছে, জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।

শনিবার বিবিসি সোমালি বিভাগকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুফ বলেন, ‘জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি, যাতে তারা এই এলাকার ভূমি থেকে আর কোনো সহযোগিতা না পায়।’

তবে নিজেদের ভূমিতে অভিযান চালালেও, এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে যেকোনো ধরনের অভিযানের ব্যাপারে আপত্তি আছে বাংলাদেশ সরকার ও মালিকপক্ষের।

কেননা, এই মূহুর্তে নাবিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সরকার চাচ্ছে মুক্তিপণের মাধ্যমেই জাহাজটি উদ্ধার করতে।

বাংলাদেশ সরকার মনে করছে, উদ্ধার অভিযান শুরু করলে তাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তৈরি হতে পারে মৃত্যু ঝুঁকির মতো পরিস্থিতি। তাই এ ধরনের কোনো অভিযানে সায় নেই বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ নৌপরিবহন অধিদফদরের মহাপরিচালক কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, ‘মৃত্যু ঝুঁকি আছে এমন কোনো অভিযানে অনুমতি দিবে না বাংলাদেশ সরকার। সরকার চাইছে আগের মতোই মুক্তিপণের মাধ্যমে দস্যুদের কাছ থেকে নাবিকদের উদ্ধার করতে।’

এদিকে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সাথে যোগাযোগ শুরু হলেও এখনো মুক্তিপণের টাকার অঙ্ক নিয়ে মুখ খুলছে না মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ।

গ্রুপের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম মিজানুল ইসলাম বলেন,‘দস্যুদের সাথে আমাদের গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের আলাপ আলোচনা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আলোচনা হয়নি।’

এমন অবস্থায় কেন এখনো মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আলোচনা হয়নি, সেটি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না।

গত প্রায় এক সপ্তাহ পণবন্দী বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ উপকূল থেকে চার নটিক্যাল মাইল দূরে থাকলেও সেটিকে এখন নেয়া হয়েছে উপকূল থেকে মাত্র দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে।

দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্দী জাহাজের ২৩ জন নাবিক। এ অবস্থা থেকে মুক্তি নিয়ে অনেকটা দুশ্চিন্তায় আছে পরিবারগুলো।

কয়েকটি পরিবারের সাথে কথা হয়। তারা বলছেন, পণবন্দী দশায় জাহাজের নাবিকদের সব চেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে পানির।

এ কারণে কেউ কেউ অসুস্থও হয়ে পড়ছেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন।

চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের ছোট ভাই আসিফ খান জানান, জলদস্যুরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে পানি ব্যবহারে। যে কারণে তার ভাইসহ কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

সোমালিয়ার পুলিশের বক্তব্য সোমালিয়ার পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুফ বলেন, এমভি আবদুল্লাহ এখন আছে জিফলের উপকূলীয় এলাকায়।

তিনি জানান, সেখানে জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি, যাতে তারা এই এলাকার ভূমি থেকে আর কোনো সহযোগিতা না পায়।’

মোহাম্মদ আলী আহমেদের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমভি আবদুল্লাহর জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই।

এরই মধ্যে জাহাজটিতে থাকা দস্যুদের জন্য মাদক সরবরাহের চেষ্টাকালে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পান্টল্যান্ড পুলিশ।

পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষ নিজেদের উপকূল ‘জলদস্যুমুক্ত করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে’ মাঠে নেমেছে বলেও বলা হচ্ছে।

পুলিশ কমান্ডার মারদুফ বলেন,‘জাহাজে থাকা জলদস্যুদের হাতে এখন দুটি বিকল্প আছে। হয় তাদের পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে কৃতকর্মের জন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে, অথবা বিদেশী বাহিনী যেমন এমভি রুয়েন থেকে জলদস্যুদের ধরে নিয়ে গেছে, সেই পরিণতি ভোগ করতে হবে।’

 

সমুদ্র ও উপকূলে চাপে জলদস্যুরা

তিনবার স্থান পরিবর্তনের পর গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ছিনতাইকৃত এমভি আব্দুল্লাহকে সোমালিয়ার গদবজিরান উপকূলের একই জায়গায় নোঙ্গর করে রেখেছিল জলদস্যুরা।

 

যেটি ছিল উপকূল থেকে চার নটিক্যাল মাইল দূরে।

গত বুধবার বাংলাদেশী এই জাহাজটি ঘিরে টহল বাড়ায় ইউরোপীয় নৌবাহিনী। হেলিকপ্টারে করেও মহড়া দেয় এ বাহিনীটি।

এই ঘটনার পরই তৎপরতা শুরু করে সোমালি জলদস্যুরা। জাহাজটিকে তারা নিয়ে যায় গদবজিরান উপকূলের আরো কাছাকাছি। গত তিনদিন ধরে জাহাজটি সেখানেই আছে। যেটি উপকূল থেকে মাত্র দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে।

জাহাজটির ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানের বড় ভাই ওমর ফারুক জানান, গত বৃহস্পতিবার তার ভাইয়ের সাথে তার যখন কথা হয় তখন সে জানিয়েছে এখন যেখানে জাহাজটিকে নোঙ্গর করা হয়েছে সেখান থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে উপকূলীয় এলাকা।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) স্যাটেলাইট ইমেজ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান পর্যবেক্ষণ করছে ছিনতাই হওয়ার পর থেকেই।

এই সংগঠনটি বলছে ইউরোপীয় নৌবাহিনী তৎপরতা বাড়ানোর পর থেকে অনেক সতর্ক হয়ে গেছে জলদস্যুরা।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, ‘জাহাজটিতে থাকা জলদস্যুরা যখন দেখেছে চারদিক থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, মাথার ওপর থেকে হেলিকপ্টার উড়ছে … তখন জলদস্যুরা তাদের আরো সেইফ জোনে নিয়ে গেছে জাহাজটিকে।’

জলদস্যুদের হাতে ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ঘিরে এবার পদক্ষেপ শুরু করেছে সোমালি পুলিশও।

বিবিসি সোমালি বিভাগকে গত শুক্রবার সাক্ষাৎকার দেন সোমালিয়ার পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুফ।

তিনি জানান, ‘এমভি আবদুল্লাহতে থাকা জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি, যাতে তারা এই এলাকার ভূমি থেকে আর কোনও সহযোগিতা না পায়।’

এমন অবস্থায় জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই বলেও জানান মারদুফ।

যে কারণে অভিযান চায় না বাংলাদেশ

ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ জলদস্যুদের কবলে পড়ার এক ধরনের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় ভারতীয় নৌবাহিনীর। তারা ওই সময় বাংলাদেশী জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ছবিও প্রকাশ করে।

এর তিনদিনের মাথায় ভারতীয় নৌবাহিনী মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজে এমভি রুয়েনে অভিযান চালায়।

ওই অভিযানে ১৩ জন নাবিককে তারা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। সেখান থেকে আটক করা হয় ৩৫ জন সোমালি জলদস্যুকে।

ধারণা করা হয় ওই এমভি রুয়েনকে ব্যবহার করেই এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটিকে ছিনতাই করেছিল জলদস্যুরা।

ভারতীয় নৌবাহিনীর ওই অভিযানের পর তৎপরতা বাড়ায় ইউরোপীয় নৌবাহিনীর একটি দলও। বর্তমানে যারা বাংলাদেশী জাহাজটিকে পুরোপুরি পর্যবেক্ষণে রেখেছে।

বাংলাদেশী জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার পরই জাহাজটির মালিকপক্ষ ও বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে যোগাযোগ হয় ইউরোপীয় নেভাল ফোর্স ও ভারতীয় নৌবাহিনীর।

মাল্টার জাহাজ এমভি রুয়েনে অভিযান চালিয়ে নাবিকদের মুক্ত করার পর ভারতীয় নৌবাহিনী ও ইউরোপীয় নেভাল ফোর্স রুয়েনের মতো আব্দুল্লাহ উদ্ধারেও একই ধরনের অভিযান চালানোর ইচ্ছা পোষণ করেছিল।

তবে বাংলাদেশ সরকার কিংবা জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ তাতে রাজি হয়নি।

নৌপরিবহন অধিদফতর মহাপরিচালক কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, ‘ইউরোপীয় নেভাল ফোর্স ও ভারতীয় নৌবাহিনীর সাথে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। তবে আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাধান।’

আলম জানান, মৃত্যু ঝুঁকি আছে এমন কোনো অভিযানে অনুমতি দিবে না বাংলাদেশ সরকার।

একই অবস্থান মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপেরও। তারাও মুক্তিপণের বিনিময় ছাড়াতে চাচ্ছে জাহাজটি।

বুধবার কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘নাবিক ও জাহাজের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে, কোনো ধরনের সামরিক অভিযানের পক্ষে নই আমরা।’

মুক্তিপণ প্রশ্নে সবাই চুপচা

২৩ জন নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহকে বন্দী করার ৯ দিন পর জলদস্যুরা গত বুধবার মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ শুরু করে।

ওই দিন থেকে যোগাযোগের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানালেও কত টাকা কিংবা মুক্তিপণ নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি মালিকপক্ষ।

প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক দিনে আমাদের সাথে কয়েক দফায় কথা হয়েছে। তবে কোনো টাকার অঙ্ক এখনো তারা বলেনি।’

মুক্তিপণের টাকার অঙ্ক নিয়ে আলোচনা না হলে তাহলে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, এমন প্রশ্নে ওই কর্মকর্তা জানান, ‘কথা হয়েছে পণবন্দী নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে।’

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে টাকার অঙ্ক চাওয়া কিংবা তা প্রকাশ হতে আরো সময় লাগতে পারে।

সংগঠনটির সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, ‘এত শিগগিরই যে তারা মুক্তিপণ চাইবে এমনটি ভাবার সুযোগ নাই। এখনো তাদের হাতে সময় আছে। তারা হয়তো অনেক কিছু বিবেচনা করেই মুক্তিপণ চাইবে।’

এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’।

ওই জাহাজের ২৫ জন বাংলাদেশী নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন পণবন্দী করে রাখা হয়েছিল।

সরকারি উদ্যোগসহ নানা প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১৪ মার্চ জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হয়। ১৫ মার্চ তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

তখন ওই জাহাজটিও জলদস্যুদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছিল মুক্তিপণ দিয়ে। কিন্তু ওই সময় কত টাকা দিয়ে মুক্ত করা হয়েছিল সেটিও তখন প্রকাশ করেনি কেএসআরএম গ্রুপ।

বাংলাদেশ নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন,’মুক্তিপণ নিয়ে বিভিন্ন জন নানা ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। আমার জানামতে তারা এখনো কোনো টাকার পরিমাণ বলেনি।’

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেএসআরএম গ্রুপের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মুক্তিপণের বিষয়টি নিয়ে অনেক ধরনের আলাপই হচ্ছে। এই বিষয়টি গণমাধ্যমে আসুক সেটি চাচ্ছে না মালিকপক্ষ।’

তিনি জানান, ‘এ কারণে কত টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে, বা কী কী বিষয়ে দরকষাকষি হচ্ছে সেটি আরো পরে জানানো হবে।’

এমভি আব্দুল্লাহর মুক্তিপণের তথ্য পাওয়া না গেলেও সম্প্রতি সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার পাওয়া জাহাজ ‘এমভি রুয়েন’ ছিনতাইয়ের পর জলদস্যুরা কত মুক্তিপণ চেয়েছিল সেটি জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী।

এক সপ্তাহ আগে ভারতীয় নৌবাহিনী ৩৫ জন সোমালি জলদস্যুকে আটক করার পর তারা জানিয়েছে এমভি রুয়েনের মালিকপক্ষের কাছে ৫০০ কোটি রুপি মুক্তিপণ চেয়েছিল সোমালি জলদস্যুরা।

ভারতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে রবিবার হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এমন তথ্য।

উদ্বেগ বাড়ছে বন্দীদের পরিবারে

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে পণবন্দী ২৩ জন নাবিককে নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন স্বজনরা।

কবে বন্দীদশা থেকে তারা ছাড়া পেয়ে ফিরে আসবে সেদিকে চেয়ে আছেন স্বজনরা। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, পণবন্দীদের সাথে পরিবারের যোগাযোগও অনেকটা কমে এসেছে।

তারা বলছেন, ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার পর প্রথম দিকে দিনে অন্তত দু’য়েকবার কথা বলার সুযোগ দিলেও এখন সেই সুযোগ পাচ্ছে না নাবিকরা।

তিন চারদিন পর পর সামান্য সময়ের জন্য লুকিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে পরিবারের সদস্যরা।

ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানের বড় ভাই ওমর ফারুখ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার অল্প সময়ের জন্য চুরি করে গোপনে ফোন দিছিল। এরপর আর কথা হয়নি।’

তিনি জানান, তার ভাই যখন তাদের পরিবারের সাথে সর্বশেষ কথা বলেছে তখন একটি বিষয়ই জানিয়েছে তাদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে খাবার দাবারের।

জাহাজে থাকা চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের ছোট ভাই আসিফ খান রোববার জানান, দু’দিন আগে সর্বশেষ যখন তার ভাইয়ের সাথে কথা বলেছে সে তখন জানিয়েছিল অসুস্থ হয়ে পড়েছে তারা ভাই।

খান জানান, ‘দিনে মাত্র খুব অল্প সময়ের জন্য পানি ব্যবহার করতে দিচ্ছে জলদস্যুরা। এতে পানির অভাবে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।’

তবে পণবন্দী হওয়ার পর একবারও যোগাযোগ হয়নি, এমন পরিবারও রয়েছে।

জাহাজটিতে থাকা চিফ কুক শফিকুল ইসলামের সাথে তার পরিবার পণবন্দী হওয়ার পর এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে পারেনি বলে জানান তারা ভাই দিদারুল ইসলাম।

তিনি জানান, জাহাজটির মালিকপক্ষ জানিয়েছে তার ভাইসহ অন্য নাবিকরা ভালো আছে।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘পণবন্দী নাগরিকদের পরিবারের সাথে শনিবার বসেছিল মালিকপক্ষ। পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যেকোনো মূল্যে সুস্থ অবস্থায় নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে।’

প্রায় ৫৫ হাজার টন কয়লা আছে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটিতে। গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে এসব কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল জাহাজটি।

১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। সূত্র : বিবিসি

বন্দরে এক হাজার ফলের কনটেইনার, বাজারে সংকট

ডলার সংকটের অজুহাতে ফল আমদানি শূন্যের কোটায়। ফলে দীর্ঘসময় ধরে বাজারেও চলছে ফলের তীব্র সংকট। এমন দাবি আমদানিকারকদের। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে ফলের এক হাজার কনটেইনার। যাকে বলা হচ্ছে মজুতের কৌশল। বাজারে ফলের সংকটও তারই অংশ।

এমন অভিযোগ কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারুর। তিনি বলেন, বাজারে ভোগ্যপণ্যের বাজারের সিন্ডিকেটের মতো ফল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটও বেশ প্রভাবশালী। চট্টগ্রামের পাইকারি ফলের বাজার ফলমন্ডির নিয়ন্ত্রণও তাদের হাতে। যেখান থেকে পুরো চট্টগ্রাম শহর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার সবকটি হাটবাজারে ফল সরবরাহ হয়। আর এই প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে এই ফল সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে হাতিয়ে নিচ্ছে ভোক্তা সাধারণের পকেটের টাকা।

তিনি বলেন, ডলার সংকটের অজুহাতে ফল আমদানি বন্ধ দেখিয়ে বাজারে ক্রয়মূল্যের দ্বিগুণ, এমনকি তিনগুণ বেশি দামে ফল বিক্রি করে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই ফল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। রোজার আগেও তারা ফল আমদানি শূন্যের কোটায় বলে রমজানে দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি দামে ফল বিক্রি করে ভোক্তাদের রক্ত চুষে খাচ্ছে। অথচ চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে তাদের আমদানি করা হাজারো কনটেইনার ভর্তি ফল। যা একরকম মজুত বলা যায়। আর ফলের এসব কনটেইনার নিয়ে বিপাকে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষও।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, রমজানের আগে ১ হাজার কনটেইনার ভর্তি ৪০ হাজার টন আপেল-কমলা-মাল্টা এবং আঙুর চট্টগ্রাম বন্দরে মজুত করে রেখেছেন আমদানিকারকরা। রেফার কনটেইনারে আনা এসব ফল দ্রুত ডেলিভারি নিতে আমদানিকারকদের দুই দফা চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলগুলো ডেলিভারি নিলে বন্দরের শেড খালি হতো। বাজারে ফলের সরবরাহ বাড়ত। কমত দামও।

সূত্র জানায়, বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে ২০ কেজির এক ক্যারেট আপেল ৪ হাজার ৭০০ টাকা, কমলা ৪ হাজার টাকা, ১৫ কেজির এক ক্যারেট মাল্টা ৩ হাজার ২০০ টাকা এবং ২২ কেজির আঙুর সাড়ে ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা পর্যায়ে এসব ফলের দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেশি।

সরেজমিন দেখা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে আমদানি করা মাল্টা খুচরায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, আপেল ২৮০ টাকায়। ভালোমানের আপেল ৩০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। চীন থেকে আমদানি করা পাতাসহ কমলা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। আঙুর প্রতি কেজি বিক্রয় হচ্ছে ৬০০ টাকায়।

যদিও পাইকারি আড়ত ফলমন্ডিতে চীনা আপেল প্রতি কেজি পাইকারি রেট ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা। আবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানি করা আপেল পাইকারিতে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, চীন থেকে আমদানি করা কমলা ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি। প্রতিটি ফলের আইটেম পাইকারি ও খুচরায় দামের ফারাক হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।

পাইকারির চেয়ে খুচরায় ফলের দামের বিস্তর ফারাক সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাটের খুচরা ফল ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, ‘পাইকারদের কাছে ফল কিছুদিন সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ীদের তো সেই সুযোগ নেই।’

তিনি জানান, পাইকারদের কাছ থেকে কেনা ফলমূল কয়েকদিনের মধ্যে বিক্রি করে ফেলতে হয়। তা না হলে পচে নষ্ট হয়। দুই কেজি নষ্ট হলে ব্যবসায় বিরাট ক্ষতি। তাই আমরা কিছুটা বাড়তি দামে ফল বিক্রি করি। যাতে নষ্ট হওয়া ফলের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারি। আর এখন তো বাজারে ফলের তীব্র সংকট চলছে বলে জানান কামাল উদ্দিন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফলমন্ডির আড়তদার আবুল কালাম বলেন, বছরের এই সময় বিশেষ করে রমজানের আগ মুহূর্তে ফলের মজুত বেশি থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিমাণ ফল মজুত নেই এখানে। ফল আমদানি হলেও সেগুলো রয়ে গেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। ফলে বাজারে ফলের সংকট চলছে। দামও বেড়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার কাজী ইরাজ ইশতিয়াক বলেন, আমদানি তথ্য অনুযায়ী বাজারে সংকট হওয়ার কথা নয়। তবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে ইচ্ছে করে আমদানিকৃত ফল কনটেইনারে ফেলে রাখা হয়েছে। যা এক প্রকার মজুত বলা যায়। এটা একটা কৌশল। তবে সেটি যাতে কেউ করতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের গত আট মাসে ১ লাখ ৪ হাজার টন আপেল, ৫৮ হাজার ২৫৮ টন কমলা, ৫৫ হাজার ৮৩৫ টন মাল্টা এবং ২৯ হাজার ৪৭০ টন আঙুর আমদানি হয়েছে।

দেশীয় কমলার স্বাদ ভালো হওয়ায় বিদেশি কমলা কিছুটা আমদানি কম হলেও বাকি অন্যান্য ফল আমদানি হয়েছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ডলার সংকট সত্বেও আট মাসে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার আড়াই লাখ টন ফল আমদানি হয়েছে। যা চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত। এরপরও বাজারে কোনোভাবেই কমছে না ফলের দাম। রোজা শুরু হওয়ার সাথে সাথে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির সুযোগে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফলের দাম।

এদিকে বন্দরে ফল ফেলে রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগ মানতে নারাজ আমদানিকারকরা। এবার দাম বাড়ানোর অজুহাত হিসেবে দেখাচ্ছেন লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটাকে। অথচ বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার পাশাপাশি চীন ও মিশর থেকে আপেল, কমলা ও মাল্টা সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইম্পোটার্স অ্যাসোয়িশেনের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল আলম বলেন, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কোনো আমদানিকারক ফল বিক্রি করছে না। চাহিদা অনুযায়ীই বাজারে ফল সরবরাহ করা হচ্ছে। চাহিদা না থাকায় বন্দর থেকে ফলের কনটেইনার খালাসে নিচ্ছে না।

তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সব ভোগ্যপণ্যের মতো ফল আমদানিতেও প্রভাব পড়ে। ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকে এলসি (ঋণপত্র) খুলতে না পারায় এই সংকট তৈরি হয়। এই সংকট দিন দিন বাড়ছে। ফলে ক্রমেই কমে যাচ্ছে ফল আমদানি।

তিনি আরও বলেন, ‘করোনাকালীন সময়েও যেখানে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রতি মাসে গড়ে ১০০ কনটেইনার ফল আমদানি হতো সেখানে এখন প্রতি মাসে গড়ে আমদানি ঠেকেছে ২০ কনটেইনারে। আমি নিজে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ কনটেইনার ফল আমদানি করতাম। এখন আমদানি করছি ৫ থেকে ৬ কনটেইনার ফল।’

ব্যবসায়ীদের মতে, ভারত-মিয়ানমারের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, চীন, ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয় নানা প্রজাতির ফলমূল। এর মধ্যে আছে মাল্টা, আপেল, ডালিম, কমলা, আনার, আঙুর, খেজুর এবং স্ট্রবেরি। ফলমন্ডির ফল চট্টগ্রামের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে।

সূত্র মতে, নতুন ও পুরনো ৩০০ ফলের আড়ত ও দোকান রয়েছে ফলমন্ডিতে। যেখানে দিনে অন্তত দেড়শ কোটি টাকা থেকে ২০০ কোটি টাকার ফলমূল বিক্রয় হয়।

আজ ভয়াল কালরাত

বাঙালি মুক্তি চেয়েছিল। দ্বিজাতিতত্ত্বের অবৈজ্ঞানিক ধারণায় সৃষ্ট পাকিস্তান নামের নরকবাস থেকে বেরিয়ে মাতৃভূমির খোলা আকাশের নিচে নিঃশ্বাস নিতে চেয়েছিল। স্বাধীনতার আশার নেমেছিল রাজপথে। আর পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক জান্তা বাঙালিকে দিয়েছিল ২৫ মার্চের ভয়াল কালরাত। বাঙালির শরীরে রাইফেল ও বেয়োনেটের নৃশংসতায় কেঁপে উঠেছিল পুরো ঢাকা। বর্বরতার ডানায় ভর করে ১৯৭১ সালের সেই রাতে এসেছিল মৃত্যুর ঘনতমসা। পৃথিবীর ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ ঘটেছিল আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশে। আজ সেই কালরাত ও গণহত্যা দিবস।

রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হিংস হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিরীহ-নিরস্ত্র স্বাধীনতাকামী বাঙালি জনগণের ওপর। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পূর্ণ সামরিক সম্ভার নিয়ে রাত ১০টার পর সারা দেশে পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসলীলা শুরু করে তারা। সামরিক ভাষায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিচিত ছিল পাক-হানাদারদের এ হত্যা-অভিযান। শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ এড়িয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া বাঙালি হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নের পথেই এগিয়েছিল। অত্যাচার, উৎপীড়ন, পাশবিকতা, নৃশংসতা আর হিংস তার কালো থাবায় বিভীষিকা ছড়িয়ে দিয়েছিল পুরো ঢাকা শহরে।

বর্বর হত্যাযজ্ঞের দিনটি ‘গণহত্যা দিবস’ হিসাবে বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে। কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার সেই নৃশংস ঘটনার স্মরণে ২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণা করা হয়। দিনটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। স্বাধীনতার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারীদের প্রতি তারা গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

১৯৭১ সালে এ বর্বরোচিত হামলায় বিশ্ববাসী হতবাক হয়ে দেখেছিল উন্মত্ত পাকবাহিনীর গণহত্যাকাণ্ড। মধ্যযুগীয় কায়দায় হানাদাররা রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর সদর দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা ঢাকা শহরে চালায় হত্যাযজ্ঞ, করে অগ্নিসংযোগ। এই রাতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।

২৫ মার্চের কালরাতের বেদনাদায়ক ঘটনা সমগ্র জাতিকে শিহরিত করে। নির্বিচারে পাখির মতো গুলি চালিয়ে নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করে মুক্তিকামী মানুষের কণ্ঠ স্তব্ধ করা যায়নি। ভয়াবহ সেই কালরাতের হত্যাযজ্ঞ বাঙালিকে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রেরণা জোগায়।

প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের এই দিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে সরাসরি এয়ারপোর্ট চলে যান। নিরপরাধ বাঙালির ওপর কাপুরুষোচিত সশস্ত্র হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়ে তিনি রাত পৌনে ৮টায় গোপনে বিমানে ঢাকা ত্যাগ করেন। পাক হানাদার বাহিনীর জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে জল্লাদের মতো বাংলার নিরপরাধ জনগণের ওপর মেশিনগান, মর্টার আর ট্যাংক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং শহরে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে।

রাত ১টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২২তম বেলুচ রেজিমেন্টের সেনারা পিলখানা ইপিআর হেডকোয়ার্টারে আক্রমণ চালায়। কেন্দ্রীয় কোয়ার্টারে ১৮ জন বাঙালি গার্ড থাকলেও তারা পালটা আক্রমণের সুযোগ পাননি। পিলখানা আক্রমণের পাশাপাশি রাজারবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাঁখারিবাজারসহ ঢাকাজুড়েই শুরু হয় হামলা। বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করে বর্বর পাক হানাদার বাহিনী। মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকে ট্যাংক, সঙ্গে সেনা বোঝাই লরি। ইকবাল হল (বর্তমানে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল), জগন্নাথ হলে মধ্যযুগীয় কায়দায় চলে পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতা। শহিদ হন কয়েকশ ছাত্রছাত্রী। ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব, ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ নয়জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়।

হানাদাররা চলার পথে রাস্তার দুই পাশে গুলি ছুড়ে মেরে ফেলে অসংখ্য নিরীহ, গরিব মানুষকে। মেডিকেল কলেজ ও ছাত্রাবাসে গোলার পর গোলা ছুড়ে হত্যা করা হয় অজস মানুষকে। রাজারবাগে পুলিশের বাঙালি সদস্যরা তাদের সামান্য অস্ত্রশস্ত্র দিয়েই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ট্যাংক আর ভারী মেশিনগানের মুখে এ প্রতিরোধ বেশিক্ষণ টেকেনি। গ্যাসোলিন ছিটিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুরো সদর দপ্তর।

২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। গোপন ওয়্যারলেস বার্তায় তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। ছাত্র-জনতা-পুলিশ-ইপিআর শত্রুর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রাম শুরু হয়েছে। আমি ঘোষণা করছি-আজ থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। সর্বস্তরের নাগরিকদের আমি আহ্বান জানাচ্ছি-আপনারা যে যেখানে যে অবস্থাতেই থাকুন, যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ না করা পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। সম্মিলিতভাবে শত্রুর মোকাবিলা করুন। এই হয়তো আপনাদের প্রতি আমার শেষ বাণী হতে পারে। আপনারা শেষ শত্রুটি দেশ থেকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যান।’

এর আগে সকালে প্রেসিডেন্ট ভবনে ভুট্টো-ইয়াহিয়া এবং ইয়াহিয়া ও পিপলস পার্টির উপদেষ্টাদের মধ্যে আলোচনা হয়। বঙ্গবন্ধুর কাছে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার ঢাকা ত্যাগের খবর সঙ্গে সঙ্গেই পৌঁছে ছিল। রাত ৯টার পর বাসভবনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমরা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু জেনারেল ইয়াহিয়া খান সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে চাচ্ছেন। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট অখণ্ড পাকিস্তানের সমাপ্তি টানতে চলেছেন।

পিলখানায় ইপিআর ব্যারাক ও অন্যান্য স্থান থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার লিখিত বাণী ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সারা দেশে মেসেজ আকারে পাঠানো হয়। এ বার্তা চট্টগ্রাম ইপিআর সদর দপ্তরে পৌঁছায়। চট্টগ্রাম উপকূলে নোঙর করা একটি বিদেশি জাহাজও এ বার্তা গ্রহণ করে। চট্টগ্রামে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক জহুর আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বাণী সাইক্লোস্টাইল করে রাতেই শহরবাসীর মধ্যে বিলির ব্যবস্থা করেন। রাত ১টায় পাকিস্তানি বাহিনীর একটি দল বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের অদূরে শুক্রাবাদে ব্যারিকেডের মুখোমুখি হয়। এখানে প্রতিরোধ ব্যুহ ভেঙে হানাদাররা রাত দেড়টায় বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে আসে। হানাদার বাহিনী এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে প্রবেশ করে। বঙ্গবন্ধুকে রাত দেড়টায় তার বাসভবন থেকে বন্দি করে শেরেবাংলা নগরের সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুকে সেনানিবাসে স্থানান্তর করা হয়। সকাল পর্যন্ত আদমজী কলেজের একটি কক্ষে বঙ্গবন্ধুকে আটক রাখা হয়।

কর্মসূচি : যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সোমবার রাত ১১টা থেকে ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। এদিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। এছাড়া ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্য সব উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি : গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে হতাশ রাজ্জাক

বাংলাদেশকে ৫১১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দিয়েছে শ্রীলংকা। ব্যাটিংয়ে নেমে দিনের শেষ বিকালে পাঁচ উইকেট হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে হতাশ নির্বাচক রাজ্জাক।

শ্রীলংকার বিপক্ষে সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। এক সঙ্গে একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটারের অনুপস্থিতি অভিজ্ঞতায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে তারা। দলের যাচ্ছেতাই ব্যাটিং নিয়ে চরম হতাশ নির্বাচক রাজ্জাক। ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা দিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘সিনিয়রদের অভাব নয়, এই খেলোয়াড়দের ভালো সুযোগ ছিল। ব্যাটিং ভাবলে খুবই অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য। এ রকম ব্যাটিং এভাবে বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে। আমি নিজেই হতাশ।’

লিটনদের নিয়ে এখানেও হতাশ রাজ্জাক, ‘উইকেটে সমস্যা হবে কি না? কিছুক্ষণ আগে ওরা দুজন সেঞ্চুরি করে গেল। আধ ঘণ্টায় উইকেটে আকাশপাতাল পার্থক্য হয়ে যাবে নাকি? আমাদের প্রয়োগে সমস্যা। আমাদেরই ভুল।’

শেষ বিকালে লিটন যেভাবে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে আজ গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেছেন তা নিয়েও চরম হতাশ রাজ্জাক, ‘হতাশজনক। একজন সিনিয়র ব্যাটারের এভাবে আউট হওয়া ঠিক না। লিটন একা বলে নয়, এখানে ৫ উইকেট পড়ে গেছে। সবারই ভুল। যারা টেস্ট খেলছে, এর বয়স কম, ও ছোট, সে এখনো বড় হয়নি, পাকাপোক্ত হয়নি—এসব বলার আসলে সুযোগ নেই। যেহেতু সে টেস্ট খেলতে নেমেছে। সে এসব পরিস্থিতি আসলে সামলাতে পারবে বলেই তো তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু খারাপ হয়েছে সবারই দায় আছে। শুধু লিটন, শান্তর একার দায় নয়।’

সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশনগুলো তার এই ভাষণ একযোগে সম্প্রচার করবে।

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এই দিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল কালরাত নেমে এসেছিল।

ওই দিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’র নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা  দেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তার পর ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সার্চলাইট’।

রাশিয়ার ২ জাহাজসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ইউক্রেনের হামলা

অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে নোঙর করে রাখা রাশিয়ার দুটি বড় জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবাহিনীর ব্যবহার করা বিভিন্ন স্থাপনায়ও হামলা করেছে দেশটি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাময়িকভাবে দখল করে রাখা ক্রিমিয়া উপদ্বীপে নোঙর করে থাকা রুশ জাহাজ আজভ ও ইয়ামালে সফলভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরের একটি যোগাযোগ কেন্দ্রসহ কয়েকটি স্থাপনাতেও রাতভর হামলা করা হয়েছে। তবে কীভাবে এসব হামলা পরিচালনা করা হয়েছে, তা ওই বিবৃতিতে স্পষ্ট করেনি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।

এদিকে রাতভর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাশিয়ার নিয়োগ করা ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলের গভর্নর মিখাইল রাজভোঝায়েভ। টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সেভাস্তোপোল বন্দরের ওপর থেকে অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিমিয়ায় এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মিখাইল আরও জানান, ইউক্রেনের হামলায় ৬৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তি মারা গেছেন এবং চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কিছু নৌযান ও বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী ও ১৩টি স্কুল বাস রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে শহরে একটি বড় বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। সেখানে বাতাসে আগুনের গোলা এবং কালো ধোঁয়া দেখা গেছে।

কিয়েভ দাবি করেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস করেছে। সাধারণত ওই এলাকায় বিস্ফোরকভর্তি সমুদ্রভিত্তিক ড্রোন ব্যবহার করে রাতে হামলা করা হয়।

ট্রেনের অগ্রিম ৭ দিনের টিকেট বিক্রি শুরু কাল

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার (২৪ মার্চ)। এ দিন সকাল ৮টা থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট (https://eticket.railway.gov.bd/) ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হবে।

এবার ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া ট্রেনের আসন সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি। বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নেওয়া কার্যক্রম থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জানা গেছে, রোববার (২৪ মার্চ) বিক্রি হবে ৩ এপ্রিলের টিকিট। ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩০ মার্চ বিক্রি হবে যথাক্রমে ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ এপ্রিলের টিকিট।

অনলাইনের মাধ্যমে সব টিকিট বিক্রি করা হবে। সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমাঞ্চলগামী টিকিট এবং দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে।

ফিরতি ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৩ এপ্রিল থেকে, সেদিন ১৩ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে।

এর আগে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী মঙ্গলবার রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছিলেন।

তিনি জানান, আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করা হলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট ভোগান্তিবিহীন কিনতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।

রাজনৈতিক ইস্যু না পেয়ে ভারত বিরোধিতায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

রাজনৈতিক ইস্যু না পেয়ে পুরোনো পাকিস্তানি কায়দায় ভারতের বিরোধিতা করছে বিএনপি এমন দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে যে অপপ্রচার শুনেছি, কোনো রাজনৈতিক ইস্যু যখন থাকে না, তখন একটাই ইস্যু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিয়ে আসে। আগে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আনতো আর এখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনে, সেটা হচ্ছে ভারত বিরোধীতার ইস্যু।

বাংলাদেশের মানুষ ৪১ ভাগেরও বেশি ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে জয়ী করেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেটা অনেক উন্নত দেশও পারে না। তারপরও বলবে ইন্ডিয়া নিয়ে এসেছে। ইন্ডিয়া কোথায়? আমাদের দেশের মানুষ ভোট দিয়েছে। তারা আমাদের ভোট দেয়নি, তারা আমাদের ভোট বানচাল প্রতিহত করার জন্য আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

বিএনপি ইফতার পার্টি করে আর আওয়ামী লীগ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে এমন মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তারা ইফতার খাওয়ার পার্টি করে আর আমরা ইফতার দেওয়ার পার্টি করি। এটাই বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মাঝে পার্থক্য।’

নির্বাচনের সময় ভারতের পাশে থাকার কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা যখন নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্র করে, তখন ভারত পাশে ছিল। ভারতসহ যেসব বন্ধুদেশ আছে তারা আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি, তারা ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

দ্রব্যমূলের দাম নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু পণ্যের মূল্য কমতে শুরু করেছে। দাম আরও কমে সাধারণ মানুষের কাছে সহনীয় হয়ে উঠবে।

এ সময় ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণের এই কর্মসূচি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনের সঞ্চালনায় ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান প্রমুখ।

ইসরাইলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার

ফিলিস্তিনের গাজায় সংঘাতের জেরে ইসরাইলকে আর প্রাণঘাতী অস্ত্র কিংবা সরঞ্জাম রপ্তানি না করার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা।

মঙ্গলবার কানাডার পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী মেলানি জোলি এসব কথা বলেন। খবর  এএফপির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মার্চ মাসের শুরুর দিকে কানাডার পার্লামেন্টে একটি অভিযোগ জমা দেন দেশটির আইনজীবীদের একাংশ এবং ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কানাডীয়রা। তারা বলেন, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান চলমান থাকাবস্থায় দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি করা কানাডার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। পরে অভিযোগটি আমলে নিয়ে সোমবার একটি রেজুলেশন পাশ করে দেশটির পার্লামেন্ট।

রেজুলেশনে বলা হয়, কানাডা ইসরাইলে সামরিক যোগাযোগ সরঞ্জাম বা এই জাতীয় সরঞ্জাম ব্যতীত কোনো প্রকার প্রাণঘাতী অস্ত্র কিংবা সরঞ্জাম পাঠাবে না। একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ফিলিস্তিন ও ইসরাইল নামের দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়েছে রেজুলেশনে।

এদিকে রেডিও কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইসরাইলে ২ কোটি ১০ লাখ কানাডিয়ান ডলার এবং ২০২১ সালে ২ কোটি ৬০ লাখ কানাডিয়ান ডলার সমমূল্যের সমরাস্ত্র রপ্তানি করেছে দেশটি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরাইলের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় হামাস। ওই দিন ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি হত্যার পাশপাশি আরও প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে আসে তারা।

হামাসের ওই হামলার পর গাজায় অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ইসরাইলি অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩২ হাজার নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

পাঠক প্রিয়