গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন—রাজধানীতে ভূমিকম্পে ১২টি ভবন প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রাথমিক তদন্তের পর এসব ভবন আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণ করা হবে। মঙ্গলবার সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত মনোয়ারা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য দেন।
পূর্তমন্ত্রী জানান—ক্ষতিগ্রস্ত এ সব ভবন অপসারণে প্রাথমিক সহায়তার জন্য বুয়েটের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। বুয়েটের পরামর্শ মোতাবেক ভবন মালিকদের সম্পূর্ণ বা ভবনের অংশ বিশেষ অপসারণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানান—খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাস্টারপ্ল্যান এলাকায় যেসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে ভবন মালিকদের জানানো হয়েছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণ ও সেগুলোকে বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণার দায়িত্ব মূলত স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের। তবে চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ ইমারত চিহ্নিত করার দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের। এজন্য চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ইতোমধ্যে একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। উচ্চ ভূমিকম্পে ঝুঁকির বিষয়ে বিবেচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।