কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতার ওপর শিবিরের গুলিকে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধ করে রাখে ছাত্রলীগ-শ্রমিকলীগ ও স্থানীয় জনতা। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে কক্সবাজার সদরের পাওয়ার হাউস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়।
সূত্র জানায়, সন্ধ্যা ৭টায় সদর উপজেলাস্থ পাওয়ার হাউস এলাকায় সড়কের উপরে ৩টি মোটরসাইকেলে ৮ জন শিবির ক্যাডার কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস শুক্কুরের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করে। একপর্যায়ে শুক্কুর মাটিতে লুটে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুল্লাহ, স্থানীয় রশিদ মিয়া ও দিনুর আলমসহ অনেকেই আহত হন। পরে রাত ৯টা থেকে ছাত্রলীগ-শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা ও স্থানীয় লোকজন প্রায় একঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দীর্ঘক্ষণ অচল হয়ে পড়লে জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে রাত ১০টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এরপর জানার ঘোনা এলাকায় শিবির নিয়ন্ত্রিত আবাসিক মেস পুড়িয়ে দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
কলেজ ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, শিবির নেতা জিয়াউল হাসান, জাহেদুল গণি, খোরশেদ আলম বুলেট ও জাহেদুল করিমের নেতৃত্বেই এ হামলা হয়েছে। সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান রুবেল জানান, বহিরাগত শিবির নেতারা নিজেদের আবারো সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচয় দিতেই রাতের আঁধারে এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। দ্রুত সময়ে ছাত্রনেতা নামধারী শিবির সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে সরকারি কলেজে সাধারণ ছাত্ররা আন্দোলনে নামবে। তিনি এ ব্যাপারে সন্ত্রাসীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ছাত্রশিবিরের জেলা ও কলেজ শাখার বেশ কয়েকজন নেতার মুঠোফোনে কয়েক বার কল করলেও কেউ রিসিভ করেননি। আবার কারও কারও ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর হামলার চেষ্টা করছে কলেজ ছাত্রশিবিরের বহিরাগত কয়েকজন সন্ত্রাসী নেতা। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ছাত্রলীগ নেতাকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। যদি দ্রুত সময়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হয় সর্বস্তরের প্রগতিশীল ছাত্রনেতাদের নিয়ে শিবির হটাও আন্দোলনে নামবে ছাত্রলীগ।’
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মতিউল ইসলাম জানান, গোলাগুলি ও সড়ক অবরোধের খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।