ভারতের পার্লামেন্টে স্থল সীমান্ত চুক্তি পাস হওয়ায় সে দেশের পার্লামেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ সকল সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দশম জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ উত্থাপিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ ধন্যবাদ জ্ঞাপন।
এসময় স্থলসীমান্ত চুক্তি পাস হওয়ায় ছিটমহলবাসীর দীর্ঘ দিনের দুঃখ দুর্দশা দূর হবে বলেও প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে স্পিকার ড. শিরিন শারমিনের সভাপতিত্বে সর্বসম্মতিক্রমে ভারতীয় পার্লামেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ দিয়ে জাতীয় সংসদে প্রস্তাব পাস হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চুক্তি অনুমোদন বিল পাস হওয়ায় ভারতীয় জনগণ, সরকার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিরোধী দলের নেতা সোনিয়া গান্ধীসহ লোকসভা ও রাজ্যসভার সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি আরো বলেন, “নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমেরিকায় আমার কথা হয়েছিল। সেখানে তিনি আমাকে বলেছিলেন এ বিলটি অনুমোদন করিয়ে দেবেন। তিনি কথা রেখেছেন। ”
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, “স্থল সীমান্ত বিল অনুমোদনের পর নরেন্দ্র মোদি আমাকে ফোন করে খবরটি জানান। আমি তাকে এবং লোকসভা ও রাজ্যসভার সব সদস্যকে অভিনন্দন জানাই।”
শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধু যেমন স্বাধীনতা দিয়েছেন তেমনি বাঙালির প্রতিটি সফলতার ক্ষেত্রে তৈরি করে গিয়েছিলেন। স্থল সীমানা চুক্তি সমুদ্র সীমা আইন সবই তিনি করে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেয়নি। জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল বলেই আমরা সরকার গঠন করে জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার সুযোগ পেয়েছি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বিশ্বাস করি দুই দেশের মধ্যে কোন সমস্যা থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু শুধু চুক্তিই করে যাননি, সংবিধানে আইনটিও করে যান। বঙ্গবন্ধু আইন করে গিয়েছিলেন বলেই, আমাদের ভিতটা এতো শক্ত হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বাস্তবায়ন হয়ে যেত।”
“ভারত এই বিলটি পাস করায় ছিটমহলবাসী অন্তত একটা রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি পাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।”
আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। সেই অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে কাজ চালাচ্ছে তার সরকার।
“সকলের শত্রু দারিদ্র্যকে দূর করতে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। এজন্য, পারস্পরিক বন্ধুত্বকে গুরুত্ব দিতে হবে।”