২০১৪– ১৫ বাজেটে প্রথম বাড়ি ভাড়া ২৫ হাজার টাকার বেশি হলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের প্রস্তাব আসে। কিন্তু গেল এক বছরে তা কার্যকর করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অভাব ও বাড়ি ভাড়া থেকে রাজস্ব আদায়ে এনবিআর এর নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা না থাকার কারণেই বাস্তবায়ন হয়নি এ পদক্ষেপ।
২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটের অর্থবিলে প্রথম অন্তর্ভুক্ত করা হয় বাড়ি ভাড়া থেকে আয়ের খাত। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে পরিপত্রও চালু করে সরকার।
এতে বলা হয়, ২৫ হাজার টাকার বেশি বাড়ি ভাড়া পেলে তা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আদায় করতে হবে বাড়ির মালিককে। আর সরকার এ থেকে পাবে মোটা অংকের রাজস্ব। কিন্তু গত এক বছরে এ আদেশের কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে মাঠ পর্যায়ে?
কয়েকজন বাড়িওয়ালা এই বিষয়ে বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা ও তাগিদ পাইনি। সবার জন্য যদি এই নিয়ম করা হয় তবে আমরা সেটি দিতে বাধ্য।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটে প্রস্তাবনা দেয়া হলেও তা বাস্তবায়নের জন্য গোছানো পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ ছিল না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর।
এই বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘এটির গ্রহণযোগ্যতা ও পরিপালন নিয়ে স্টাডি হয়নি। যদি হতো তবে এই ধরণের নৈরাশ্যজনক ফলাফল আসতে পারতো না। যা কিছুই ফাইন্যান্স বিলে আনা হবে সেগুলো যাতে ভালোভাবে স্টাডি ও ফলোঅপ হয়।’
এই বিষয়ে বিআইডিএস এর গবেষক ড. নাজনীন আহমেদ জানান মনিটরিংয়ের জায়গাটি খুব স্পষ্ট নয়।
আর পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর এই বিষয়ে বলেন, ‘প্রস্তাবনা দিয়ে রাজস্ব আসবে না, প্রস্তাবনার সঠিক বাস্তবায়নের ফলেই রাজস্ব আসবে। সেটি এনবিআর এর ছিলো না। ফলে কোনো রাজস্ব আসেনি। আমি মনে কর, এই বছরও কোনো রাজস্ব আসবে না যদি এনবিআর সিস্টেমেটিক্যালি না আগায়।’
এর পাশাপাশি, গত বাজেটে বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত প্রস্তাবনাসহ যেসব নতুন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল তার কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে এবারের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রীর কাছে সেসবের একটি পর্যালোচনাও দাবি করেছেন বিশ্লেষকরা।