বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করে সারাদেশে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গারা। কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর দালালদের মাধ্যমে সরাসরি চলে আসছে চট্টগ্রামে।
বিশেষ করে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার সাথে ভাষাগত মিল থাকায় সহজেই এখানকার জনগোষ্ঠী সাথে মিশে যাচ্ছে তারা। এর ফলে চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সমাজে।
মূলত ১৯৭৮ সাল থেকেই বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হয়। প্রথম দিকে তারা শুধুমাত্র কক্সবাজারের টেকনাফ কিংবা উখিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থান থাকলেও পরবর্তীতে তা কক্সবাজার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু এখন কক্সবাজারের সীমানা পেরিয়ে রোহিঙ্গারা চট্টগ্রামমুখী। সারাদেশে ছড়িয়ে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম হলো তাদের ট্রানজিট পয়েন্ট।
‘কক্সবাজার এলাকায় বেশ কিছু রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা আছে। এর বাইরেও ধারনা করা হয় প্রায় দুই লাখের কাছাকাছি আন-রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা আমাদের দেশে অবস্থান করছে।’
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রায়ই নগরীর শাহ আমানত সেতুর চেক পোষ্টে এ ধরণের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ছে। কিন্তু সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, বাঙালি সমাজের প্রথা ভেঙে নানা ধরণের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে এসব রোহিঙ্গা।
সিএমপি বাকলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরকে ট্রানজিট করে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য শহরে প্রবেশ করে। এরকম প্রবেশকালে আমরা ইতিপূর্বে মায়ানমারের নাগরিক গ্রেফতার করেছি।’
এ অবস্থায় অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নগরীর প্রবেশপথগুলোতে তল্লাশি জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
সিএমপি পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রমাণ হলে তাদের ভাষাগতভাবে যদি বোঝা যায় যে তারা রোহিঙ্গা তাহলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।’
সরকারিভাবে কোনো তথ্য না থাকলেও বেসরকারি বিভিন্ন হিসেব অনুযায়ী নগরীর বিভিন্ন বস্তি এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।