বাস্তু শব্দের অর্থ বসবাস৷আসলে যে ভূমিতে আমরা বসবাস করি, তাকেই সাধারণভাবে বাস্তু বলে৷টাকাপয়সা, কেরিয়ারে উন্নতি, সন্তান ভাগ্যের সঙ্গে সঙ্গে শরীরকে নীরোগ রাখতেও বাস্তুর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে৷সবার ক্ষেত্রে পুরোটা মেনে চলা সম্ভব না হলেও বাড়ি করা বা ফ্ল্যাট কেনার সময় টিপসগুলো মাথায় রাখতে পারলে ভালো৷
১) বাড়িতে কুয়ো, টিউবওয়েল, ট্যাঙ্কি, বেসিন পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর বা ঈশান কোণেই শুধুমাত্র রাখা উচিত৷প্রধান জলের ট্যাঙ্ক রাখা উচিত ঈশান কোণে৷
২) দক্ষিণ বা নৈঋত কোণে কুয়ো বা ট্যাঙ্কি থাকলে রোগ-ভোগ বাড়ে৷ এমনকী আয়ু কমে যাওয়াও আশ্চর্যের নয়৷
৩) একটা ঘর উত্তরে আর একটা ঘর যদি বাড়ির পশ্চিম প্রান্তে হয়, তাহলে গৃহস্বামীর জীবনে ছেয়ে রয়েছে মৃত্যুর ঘনঘটা৷এরকমভাবেই একটা ঘর পূর্বদিকে আর একটা ঘর দক্ষিণে থাকলে পরিবারের লোকজনের বাতের সম্ভাবনা বাড়ে৷উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এই তিনদিকে ঘর রয়েছে, কিন্তু ফাঁকা পড়ে রয়েছে দক্ষিণ দিক, তাহলে কিছুদিন ছাড়া ছাড়াই নানারকম রোগে জেরবার হবেন আপনি৷
৪) বাথরুম পূর্বে, রান্নাঘর আগ্নেয় কোণে, শোওয়ার ঘর দক্ষিণে, পরিবারের প্রধান বা গৃহস্বামীর ঘর দক্ষিণে বা দক্ষিণ-নৈঋত কোণে, খাওয়ার ঘর পশ্চিমে, পুজোর ঘর উত্তর বা ঈশান কোণে হওয়াই বাঞ্ছনীয়৷ঘরের যাবতীয় ভারী জিনিসপত্র নৈঋত দিশাতে রাখা উচিত৷
৫) স্বামী-স্ত্রী যদি ঈশান কোণে মাথা রেখে শোন, তাহলে রোগ হওয়া অবশ্যম্ভাবী৷সবসময় পূর্ব বা দক্ষিণ দিকেই মাথা রেখে শোওয়া উচিত৷উত্তর বা পশ্চিমে মাথা রেখে শুলে আয়ুক্ষয়ের সম্ভাবনা থাকে৷
৬) দুপুরবেলা যদি কোনও গাছ বা মন্দিরের ছায়া বাড়িতে পরে তা শরীরের পক্ষে খুব একটা মঙ্গলদায়ক নয়৷
৭) একই দেওয়ালে গায়ে লাগানো দুটো বাড়ি থাকলে গৃহস্বামীর আয়ু দ্রুত ক্ষয়ে যায়৷
৮) কোনও রাস্তা বা গলির শেষ বাড়িটি আপনার হলে সারাজীবন রোগ নিয়ে আপনাকে ভুগতে হবে৷