আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঝিনাইদহ:
পেপে পরিচিত একট ফল। পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে পেপে অন্য ফলের তুলনায় অনেক বেশি পুষ্টিকর। পাঁকা পেপে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ। কাঁচা পেপেতেও ভিটামিন ‘এ’ ভিটামিন ‘সি’ আছে। এ ছাড়া পেপে কাঁচা বা পাকা পেপেতে লৌহ ও ক্যালসিয়াম আছে। হজমে সহায়ক পেপে কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থায়ই শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আমাশয় ও পেটে সমস্যা থাকলে কাঁচা পেপের আঠা ৩০ ফোটা ও ১ চামচ চুনের পানি মিশিয়ে তাতে একটু দুধ দিয়ে খেতে হবে। একবার খেলেই পেটের যন্ত্রণা কমে যাবে এবং আমাশয় কমে যাবে। ক্ষুধা ও হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে প্রত্যেকদিন সকালে ২/৩ ফোটা পেপের আঠা পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। এর দ্বারা ক্ষুধাও বেড়ে যাবে এবং হজমও ঠিকভাবে হবে। দাদের সমস্যা হলে কাঁচা পেপের আঠা আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিতে হবে, একটিদন লাগিয়ে পরের দিন লাগাতে হবে না, এর পরের দিন আবার লাগাতে হবে, এই ভাবে তিন ৩/৪ দিন লাগালে দাদ মিলিয়ে যাবে। যে একজিমা শুকনা অথবা রস গড়ায় না, সেখানে ১ দিন অথবা ২ দিন অন্তর পেপের আঠা লাগালে ওঠার চামড়া উঠতে উঠতে পাতলা হয়ে যায়। পেট ফাঁপা সমস্যায় কয়েক টুকরো পাকা পেপের শাস, আর সামান্য লবন এবং একটু গোলমরিচের গুড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। জ্বর হলে দেড় চামচ পেপে পাতার রস এক কাপ পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। এর দ্বারা জ্বরের বেগ, বমি, মাথার যন্ত্রনা, শরীরে দাহ কমে যাবে। জ্বর কমে গেলে আর খাওয়ার প্রয়োজন নেই। মাথায় উঁকুনের সমস্যায় ১ চামচ পেপের আঠা, তার সঙ্গে ৭/৮ চামচ পানি মিশিয়ে ফেটিয়ে নিতে হয়। তারপর ওই পানি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর মাথা ধুয়ে ফেলতে হয়। এইভাবে একদিন অন্তর আর একদিন বা ২ দিন লাগালে উঁকুন মরে যায়।