১৬ কোটি মানুষের এই দেশের বড় একটি অংশ জীবন-যাপন করছেন দারিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ করে । আর এ মানুষগুলো কোন না কোন রোগ নিয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে দিন কাটাতে হয় বেশী সময়। যদিও সরকার এসব মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নিয়েছেন নানান উদ্যোগ।
অসহায় রোগীদের জন্য লাল-সবুজের মোড়কে সরবরাহ করা হয়েছে সরকারী ওষুধ। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে সরকারের একার পক্ষে সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়, এগিয়ে আসতে হবে দানশীল ব্যক্তিদের। এর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব মতে, জেলা পর্যায়ে সরকারী হাসপাতাল রয়েছে ৬২ টি । বেড রয়েছে ৩০হাজার ২শ ৬০টি। উপজেলা পর্যায়ে আছে ৪২৫টি হাসপাতাল, বেড রয়েছে ১৯ হাজার ৯শ ৩৬টি। জেলা হাসপাতালের প্রতিটি বেডের জন্য বছরে ব্যয় হয় ১লাখ১৫ হাজার টাকা, বিশেষায়িত হাসপাতালের জন্য ১লাখ ২৫ হাজার, আর উপজেলা হাসপাতালের জন্য বেড প্রতি ব্যয় ৬৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে সরকারী ভাবে বছরে ব্যয় হয় ৫শ ৭৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর বড় একটি অংশ ব্যয় হয় বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহে ।
সরকারি ওষুধ পেয়ে খুশি দরিদ্র রোগিরা। তবে সরকারী হাসপাতালের পরিচালকদের দাবী, রোগির তুলনায় সরকারী ওষুূধ পর্যাপ্ত নয়। এগিয়ে আসতে হবে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তার মতে, সরকারী ওষুধ রোগিরা যাতে পান তা নিশ্চিত করতেই লাল-সবুজের মোড়ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কর্মকর্তার দাবী, লাল-সবুজে মোড়া ওষুধ বাজারজাত করা হলে এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের কাছে শোর্পদ করতে পারবে অসাধু ব্যবসায়ীকে, তাই সরকারের অঙ্গিকার অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসতে হবে সকলকে।