দুর্ভাগ্য যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তরুণ প্রতিভাবান অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনের। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের টেস্ট দলে ডাক পেলেও চোখ সংক্রান্ত জটিলতার খেসারত হিসেবে তাকে ছিটকে যেতে হয় দল থেকে। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় এবার ডাক পাননি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট দলেও।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ যখন শেষ হয়ে গেছে মোসাদ্দেকের ঠিক তখন আরো একটি খারাপ খবর শুনলেন তিনি। টেস্ট সিরিজের পর এবার সীমিত ওভারের সিরিজেও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন তিনি।
থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে শনিবার মোসাদ্দেক হোসেনের দেশে ফিরে আসার পর তাঁর চোখের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক ডাঃ মনিরুল আলম আমিন।
এই সময় তিনি জানান, ‘থাইল্যান্ডে দুটি আর বাংলাদেশে একটি, মোট তিনটি হাসপাতালে তার চোখের পরীক্ষা করানো হয়েছে। তিন হাসপাতালের সম্মিলিত একটা চিকিৎসার মধ্যে আছে সে।’
উল্লেখ্য, মোসাদ্দেক হোসেনের বাঁ-চোখ ভাইরাস ক্যারাটিস নামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর অতিবাহিত হয়েছে প্রায় মাস-দেড়েক সময়। শুরুর দিকে দেশে চিকিৎসা নিলেও পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয় তাকে। সেখানে দু’টি হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও এখনো পর্যন্ত কোন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে মোসাদ্দেক হোসেনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তার খেলায় ফেরা সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাকে। স্বাভবিক দৃষ্টিটা ফিরে আসলে সে সাথে সাথেই মাঠে নামতে পারবে। তবে সেটা ঠিক কবে নাগাদ ঠিক হবে তা এখনই বলা যাচ্ছেনা।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সীমিত ওভারের সিরিজে ফেরা অনিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট ও আকর্ষণীয় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরেও শঙ্কা জেগেছে ২১-বছর-বয়সী এই ক্রিকেটারের অংশগ্রহণ নিয়ে। বিপিএলে মোসাদ্দেকের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনার জবাবে বিসিবির চিকিৎসক ডাঃ মনিরুল আলামিন বলেন, ‘বিপিএলে মোসাদ্দেক খেলতে পারবে কী না সেটা এখনই বলা যাচ্ছেনা। দশদিনের মধ্যে যদি চোখের দৃষ্টিটা পরিষ্কার হয়ে যায় তবে ভাল। আর না হলে ওর বিপিএলে খেলা সম্ভব নাও হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২রা নভেম্বর মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চম আসর। গত আসরের মতো আসন্ন বিপিএলেও ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মোসাদ্দেক।