মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী সংবাদদাতা: নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক ওয়ার্ডবয় ও ওই হাসপাতালের এক পরিচ্ছন্নকর্মীসহ জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিনজনের। এ নিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হলো ১৪ জন।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান।
তিনি বলেন, শনিবার রাতে জেলায় মোট তিনজনের করোনা পজেটিভ এসেছে। যার মধ্যে জেলা সদর উপজেলার নোয়াইন্ন ইউনিয়নে এক যুবক (২৫) ও হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং একজন আয়া রয়েছেন। নতুন করে শনাক্তকৃতদের রবিবার পর্যবেক্ষণ শেষে অবস্থা বুঝে জেলার শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে ৮২ শয্যার অস্থায়ী হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হতে পারে। এছাড়া তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
হাতিয়া উপজেলা মেডিকেল অফিসার রোগ নিয়ন্ত্রণ ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, গত ২৫ এপ্রিল হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নার্সসহ মোট ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২৬ এপ্রিল সকালে নমুনাগুলো বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়েছিল।এর আগে বেশ কয়েকজনের নমুনা রিপোর্ট আমাদের হাতে এসেছিল। ওইগুলো সব নেগেটিভ ছিল।শনিবার রাতে আসা নমুনাগুলোর মধ্যে এক ওয়ার্ডবয় ও এক আয়ার করোনা পজেটিভ আসে।ওই ওয়ার্ডবয় এর বাড়ি জেলার কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নলুয়া ভুঁইয়ারহাট সংলগ্ন ইটালি মার্কেট এলাকায় এবং আয়া হাতিয়ার ওছখালি ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
তিনি আরও বলেন, আক্রান্ত আয়া বর্তমানে তার নিজ বাড়িতে থাকলেও ওয়ার্ডবয় বর্তমানে মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে ৮২ শয্যার অস্থায়ী হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
করোনা শনাক্ত হওয়া ওয়ার্ডবয়ের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, গত ২৯ এপ্রিল তিনি হাতিয়া থেকে জেলা শহর মাইজদীতে এসেছেন। পরদিন থেকে শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে ৮২ শয্যার অস্থায়ী হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন।এর আগে গত ৫ এপ্রিল তিনি নিজ বাড়ি থেকে হাতিয়া নিজ কর্মস্থলে গিয়েছেন বলেও জানান।
যদিও তার এলাকা থেকে খবর নিয়ে জানা গেছে তিনি বাড়ি থেকে না সোনাপুর লোহারপোল এলাকার তার শশুরবাড়ি থেকে নিজ কর্মস্থল হাতিয়ায় গিয়েছেন।সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, উপজেলার নোয়াইন্ন ইউনিয়নে এক যুবকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সে সদ্য নারায়ণগঞ্জ ফেরত বলে জানা গেছে। তার শরীরে করোনার উপসর্গ থাকায় মেডিকেল টিম পাঠিয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। যা পরবর্তীতে পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডি চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন : নোয়াখালীর সেনবাগে করোনা উপসর্গ নিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু
নোয়াখালীতে এ পর্যন্ত যেসব করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৬ জন,সদরে ২ জন,সোনাইমুড়ীতে ২ জন,হাতিয়ায় ২ জন,সেনবাগে ১ জন ও কবিরহাটে ১ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে সোনাইমুড়ীতে এক ইতালি প্রবাসী ও সেনবাগে এক রাজমিস্ত্রি মারা গেছেন।আরো পড়ুন : নোয়াখালীতে বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী ফিরোজ নিহত