মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে হঠাৎ চেঁচেয়ি উঠেছিলেন বছর পয়ত্রিশের নেহা গোয়েল। মেয়েকে দেখতে না পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে দিশেহারা অবস্থা। চোখ-মুখ লাল, আলুথালু চুল, তাকে সামলাতে পারছিলেন না পরিজনরা।
কিন্তু মেয়ে গেল কোথায়? চার মাসের ছোট্ট মেয়েটার নিথর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বাড়িতে রাখা অব্যবহৃত এয়ারকন্ডিশনার মেশিনের ভিতর থেকে, কম্বলে জড়ানো অবস্থায়। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ছোট্ট মাহিকার।
কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল মাহিকার? এয়ারকন্ডিশনার যন্ত্রের ভিতরেই বা সে গেল কী করে? পুলিশের অভিযোগ, শোকাতুর মা নেহা গোয়েলই খুন করেছেন মেয়ে মাহিকাকে!
ছেলে সন্তান চেয়েছিলেন নেহা, কিন্তু দ্বিতীয়বার মেয়ে হওয়ায় মেনে নিতে পারেননি। তাই মাহিকার ছোট্ট শরীরকে ১৭ বার ছুরি দিয়ে কুপিয়েছেন নেহা।
বৃহস্পতিবার ভারতের জয়পুরের বাসিন্দা নেহাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে মাহিকাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন নেহা।
পুলিশের আরও দাবি, আট বছরের আরও একটি মেয়ে রয়েছে নেহার। ছেলে না হয়ে দ্বিতীয় মেয়ে হওয়াতে বেশ ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই এই ঘটনা।
প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলছে, ১৭ বার ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে মাহিকাকে। ১৭টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তার শরীরে।