চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নে একই পরিবারের চার নারীকে ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় আটক মিজান মাতব্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. আল ইমরান খানের আদালতে এ জবানবন্দি দেন পুলিশ অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) হাতে আটক মিজান। এর আগে কর্ণফুলী থানা থেকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করে পিবিআই।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জানান, আসামি মিজান মাতব্বর স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনার পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তাঁদের নামও বলেছেন। তিনিসহ পাঁচজন জড়িত বলে জানিয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের নাম তিনি জানিয়েছেন।
পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ দে জানান, মিজান মাতব্বর আদালতে ডাকাতির কথা স্বীকার করলেও তিনি নিজে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তবে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির পর ধর্ষণ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য আদালতে স্বীকার করেছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নে এক প্রবাসীর বাড়ির গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে ডাকাতরা। তারা ওই পরিবারের চার নারীকে ধর্ষণ করে এবং মালামাল লুটপাট করে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর তারা কর্ণফুলী থানায় মামলা দিতে গেলেও পুলিশ নেয়নি। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হস্তক্ষেপে পুলিশ মামলা নেয়। দেরি করে মামলার নেওয়ায় অনেক আলামত নষ্ট হয়ে যায়। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের নীরব ভূমিকা নিয়ে চট্টগ্রামে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সংগঠন। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।