পাসকৃত সম্পূরক বাজেটে মন্ত্রণালয় ও বিভাগসহ ২৭টি মুঞ্জরি দাবির উপর ১৭১টি ছাঁটাাই প্রস্তাব দেওয়া হয়। আনিত ছাঁটাই প্রস্তাবে ৮ জন সদস্য তাদের যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তবে কণ্ঠভোটে তাদের ছাঁটাই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সম্পূরক বাজেট পাসের জন্য ভোট দেন। এরপর সরকারি দল ও বিরোধী দলের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতক্রমে সম্পূরক বাজেট (২০১৪-১৫) পাস হয়।
বাজেট পাসের আগে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সম্পূরক বাজেটের কঠোর সমালোচনা করেন সরকার দলীয় সদস্য। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, ও মো. সেলিম উদ্দিন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, টাকা খরচ করে এখন আসছেন বাজেট পাস করে নিতে। একই কথা বলেন অন্য দুই সদস্য।
পাসকৃত সম্পূরক বাজেটে খরচের দিক দিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৩৭২ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। পঞ্চম স্থানে রয়েছে প্রতিরক্ষা ১ হাজার ২৭১ কোটি ১৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
সম্পুরক বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্যে অংশ নিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, সম্পূরক বাজেটের বিবৃতিতে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয়ের বিষয়টি সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়েছে। তবে অন্যান্য বইয়ে প্রত্যেকটি প্রকল্পে ব্যয় বিস্তারিত নামসহ তুলে ধরা হয়েছে। তারপরও ব্যয়ের বিষয়ে কোন কিছু জানার থাকলে তা আমরা জানাতে বাধ্য আছি।
সম্পুরক বাজেটে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে ২২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ৪৬ কোটি ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ১২০ কোটি ৮০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ৮৭ কোটি ৫৯ লাখ ৩ হাজার টাকা, সরকারি কর্ম কমিশনে ৮১ লাখ ২৬ হাজার, মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়য়ে ৫০ লাখ ৫১ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে ১৪২ কোটি ৮৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা, পরিকল্পনা বিভাগে ১৮১৯ কোটি ৯৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৩৭ কোটি ৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ১২৭১ কোটি ১৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, স্বশস্ত্র বাহিনী বিভাগে এক কোটি ৮৪ লাখ ৪২ হাজার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১৩৭২ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৬৫৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ১৪২৩ কোটি ৬৯ লাখ ২৩ হাজার টাকা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ৩৯২ কোটি ১৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ৭৮ কোটি ২৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, তথ্য মন্ত্রণালয়ে ৪ কোটি ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৪৩ কোটি ৯২ লাখ ৯ হাজার টাকা, ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ৪৫ কোটি ৯২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা, স্থানীয় সরকার বিভাগে ১৫৩৭ কোটি ২৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগে ৮৭ কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে ২৪ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার টাকা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ২২৩ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সুপ্রীম কোর্ট বিভাগে ১০ কোটি ৮০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ৩৬ কোটি ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ও দুর্নীতি দমন কমিশনে ৫ কোটি ৯২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।