আর্থনিউজ২৪ (ব্রিটেন): শুনে অবাক লাগল ? অবাক হওয়ার মতোই খবর বটে। গাছ তাও আবার বুড়ো, তার আবার সেক্স চেঞ্জ ! তা কি হয় ? প্রশ্নের উত্তর, হয়। অন্তত বিজ্ঞানীরা এমনটাই মনে করছেন। খবর যাকে ঘিরে সে গাছটি ব্রিটেনের পার্থশায়ারের বাসিন্দা। স্থানীয় নাম ফোর্টিংঅল ইউ। বয়স ৩ থেকে ৫ হাজার বছর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গাছটি এতদিন ছিল পুরুষ প্রকৃতির। কিন্তু, এখন সে গাছে এমন কাণ্ডকারখানা শুরু হয়েছে, যার থেকে তাঁরা মনে করছেন, সেক্স চেঞ্জ করছে সেটি।
কীভাবে ?
ফোর্টিংঅল ইউ প্রজাতির গাছ সাধারণত দুটি প্রকৃতির (পুরুষ ও স্ত্রী) হয়। পুরুষ প্রকৃতির গাছে শরতের শুরু থেকে বসন্তের শেষ পর্যন্ত ফুলের পরাগ ছড়ানো খুব পরিচিত দৃশ্য। এই সময়টা গাছের পুষ্পরেণুর আকর্ষণে গাছে বাসা বাঁধে প্রজাপতি, পতঙ্গরা। উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা বলছেন, গাছটি যে পুরুষ প্রকৃতির, তার প্রমাণ এই পরাগ উৎপাদনই। আর স্ত্রী প্রকৃতির গাছে রেড বেরি জাতীয় স-বীজ ফল ফলে।
এখানেই চমক। চলতি মরশুমে পুরুষ প্রকৃতির ফোর্টিংঅল ইউ গাছের একটি অংশে ঠিক উলটো ছবি দেখা গেছে। বুড়ো পুরুষ গাছটির উপরের দিকের একটি অংশে রেড বেরি ফলেছে তিনটি। তা দেখেই তাজ্জব বিজ্ঞানীরা। তবে কি এবার নারী হওয়ার সাধ হয়েছে বুড়ো গাছের! একমাত্র শরৎ ও শীতকালেই একটি ইউ গাছ পুরুষ না নারী প্রকৃতির, তা বোঝা সম্ভব।” জানিয়েছেন এডিনবার্গের রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনের ম্যাক্স কোলম্যান। তবে কি ফোর্টিংঅল ইউ-এর এই পরিবর্তন স্বাভাবিক? ম্যাক্সের মতে, “না অস্বাভাবিকই বটে।”
আরও অবাক করার মতো তথ্য দিচ্ছেন ম্যাক্স। তাঁর মতে, গোটা গাছ নয়, শুধু উপরের শাখাতেই হচ্ছে এই সেক্স চেঞ্জ। “মনে হচ্ছে ফোর্টিংঅল ইউ-এর উপরিভাগের বহির্অংশের ছোটো কোনও শাখাতে এই সেক্স চেঞ্জ ঘটছে।” এবং সেই অংশেই তিনটে পাকা রেড বেরি দেখতে পেয়ে চমকে গিয়েছিলেন ম্যাক্স। জোরালো দাবিতে এও বললেন, “বাকি গাছটি কিন্তু এখনও পুরুষ।”