বিটিআরসির নিয়োগ করা একটি অডিট ফার্ম প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৭টি খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি (বিটিআরসির ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি ও এনবিআরের ৪ হাজার ৮৬ কোটি) টাকা পাওনা হিসেবে দাবি করে গত ২ এপ্রিলে গ্রামীণফোন লিমিটেডকে চিঠি দেয় বিটিআরসি।
ওই চিঠি পেয়ে পাওনা দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে নিম্ন আদালতে একটি মামলা করে পাওনা দাবির ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়েছিল গ্রামীণফোন। কিন্তু গত ২৮ আগস্ট ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন নামঞ্জুর করে দেন। পরে গ্রামীণফোন গত ১৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে আপিল করলে হাইকোর্ট ১৭ অক্টোবর অর্থ আদায়ের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন। এদিকে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি আবেদন করলে, যা চেম্বার বিচারপতির আদালত হয়ে শুনানির জন্য আসে আপিল বিভাগে।
আপিল বিভাগের শুনানিতে বিটিআরসির পাওনা দাবির প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা বিটিআরসিকে পরিশোধের জন্য গ্রামীণফোনকে ৩ মাস সময় দিয়েছেন আদালত। অন্যথায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে।
আজ রোববার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত বিচারপতির একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।