নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ০৯ জানুয়ারী ২০১৩ ইং জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড এ এক প্রাথমিক শিক্ষক সমাবেশে বাংলাদেশের ২৬,১৯৩ টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষনা দেন। জাতীয়করণ প্রক্রিয়া ৩টি ধাপে বাস্তবায়ণ হবে, ১ম ধাপ ১ জানুয়ারী ২০১৩ ইং থেকেই কার্যকর হবে, ২য় ধাপ ধাপ ১ জুলাই ২০১৩ ইং সাল থেকে কার্যকর হবে, ৩য় তাপ ১ লা জানুয়ারী ২০১৪ সাল থেকে কার্যকর হবে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিমতে ১ম ও ২য় ধাপের সমস্ত কার্যক্রম শেষ করে শিক্ষকদের সরকারী সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু ৩য় ধাপের জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর কোন শিক্ষকদের চাকুরী অদ্যাবধি জাতীয়করণ হয়নি। উল্লেখ্য ৩য় ধাপে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র তালিকা অনুযায়ী বিদ্যালয় সংখ্যা ৯৬০টি। ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ ইং সনে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৫৩৩ টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়, পরবর্তীতে আরও ৩টি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অবশিষ্ট বিদ্যালয় গুলো জাতীয়করণ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ থাকে প্রাথমিক বিদ্যালয় অধিগ্রহণ আইন ১৯৭৪ এর ৩(১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে ১ জানুয়ারী ২০১৪ সন থেকে এসব বিদ্যালয় সরকারী নিয়ন্ত্রনে আনায়ন করা হলো।
পরবর্তীতে ৫৩৩ বিদ্যালয় হতে ৫১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য রাজস্বখাতে পদ সৃজন এর জন্য ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ ইং মুহাম্মদ হিরুজ্জামান (উপ-সচিব) স্বাক্ষরীত একটি জিও জারী করা হয়, পরবর্তীতে ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ইং সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এর যুগ্মসচিব (বিদ্যালয়-১) জনাব পুলক রঞ্জন সাহা স্বাক্ষরিত জাতীয়করণের তালিকাভূক্ত বিদ্যালয়ের খসড়া শিক্ষক গেজেট প্রকাশ করা হয়। এখনো পর্যন্ত চুড়ান্ত শিক্ষক গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় ২০১৪ সালে ১ জানুয়ারী থেকে অদ্যবধি বিনা বেতনে চাকুরী করছেন এ সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, চরম হতাশা এবং অভাব অনটনে জর্জরিত এ সকল শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তাঁরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য যা করছেন তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। অনেক আনন্দ পেয়েছিলাম সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা শুনে। দিন দিন সেই আনন্দ ফিকে হয়ে আসছে, তাই দ্রুত শিক্ষকদের চুড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে সকল প্রকার সরকারী সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য ন্যায্য দাবী জানাচ্ছি এবং পরিবার পরিজন নিয়ে চরম অভাব অনটনে দূরাবস্থায় যাপীত জীবন থেকে মুক্ত করার আহবান জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে আর্থনিউজ২৪ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এর যুগ্মসচিব (বিদ্যালয়-১) জনাব পুলক রঞ্জন সাহা’র কাছ থেকে টেলিফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫১৯ টা সৃজিদ পদগুলির আগামী ১/২ মাসের মধ্যে চুড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে। বাকী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদ সৃজিত হলেই জাতীয়করণের আওতায় আনা হবে।
