ইউসুপ পাটোয়ারি, খাগড়াছড়িঃ
৪টি ব্রিগ্রেড ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সব সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রতিবাদে আগামী ২২ মে তিন পার্বত্য জেলায় হরতালের ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবী করে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গত ৮ মে রবিবার রাজধানীতে পার্বত্য কমপ্লেক্সের ভিত্তিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিন পার্বত্য জেলার ৪টি সেনা ব্রিগ্রেড বাদে বাকী সব সেনাক্যাম্প প্রত্যাহারের ঘোষণার প্রতিবাদে ১৩মে শুক্রবার সকাল ১১ টায় (ঢাকার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে-পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান আলকাছ আল মামুন ভূইঁয়ার সভাপতিত্বে এসবা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, সম-অধিকার আন্দোলনের মহাসচিব মনিরুজ্জামান মনির, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আহমেদ রাজু, পার্বত্য বাঙ্গালী গণমঞ্চের চেয়ারম্যান শওকত আকবর, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা শাহজালাল, মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি সাহাদাত হোসেন সাকিব। আরো উপস্থিত ছিলেন-পিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা মো: খলিলুর রহমান, সাদ্দাম হোসেন, ফিরোজ আলম প্রমুখ ।
বক্তারা বলেন, ‘রাজধানীতে পার্বত্যবাসীর অনেক প্রতীক্ষিত কমপ্লেক্সটি নির্মাণের আগেই পরিকল্পিতভাবে উপজাতিকরণ করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব কিশোর বিক্রম ত্রিপুরা ও উপজাতি কর্মকর্তাগণ বৈষম্যমূলক আচরণ ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে! তাই এদের মন্ত্রণালয় থেকে অপসারণ করতে হবে’।
বক্তারা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙ্গালীদের মধ্যেকার সম্প্রীতি রক্ষার জন্য এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীর কোন বিকল্প নেই। সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। অপহরণ, মুক্তিপণ, গুম, চাদাঁবাজি, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি এবং টোকেন বাণিজ্য যতদিন পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে বন্ধ হবে না ততদিন সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে পাহাড়ে থাকতে হবে।
বক্তারা বলেন, ‘পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অনুপস্থিতিতে পার্বত্য এলাকা বিভিন্ন দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের স্বর্গরাজ্যে ও নিরাপদ আন্তানায় পরিণত হবে। অতএব সেনা ক্যাম্প প্রতাহারের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। এসময় ২২ মে আহুত হরতাল পালনে দলমত নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।