১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০৩৩ সাল পর্যন্ত কমমূল্যে ঔষধ পাবে বাংলাদেশের মানুষ

বিশ্বের ৫০টি স্বল্পোন্নত দেশের জন্য ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধের মেধাস্বত্বে ছাড় দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা-ডব্লিউটিও। এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হবার আগেই ডব্লিউটিও এ সিদ্ধান্ত নিলো।

এর ফলে বাংলাদেশ আরো ১৭ বছর মেধাস্বত্বের জন্য কোন ব্যয় না করেই ওষুধ তৈরি ও কেনাবেচা করতে পারবে। এতে করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুফল বয়ে আনবে বলে মনে করছেন এর সাথে সংশ্লিষ্টরা।

চলতি বছরেই শেষ হতে যাচ্ছে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য উন্নত বিশ্বের দেয়া ওষুধের মেধাস্বত্বের বিশেষ সুবিধার মেয়াদ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে এই সুবিধা বহাল রাখতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা-ডব্লিউটিওর কাছে আবেদন জানানো হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার জেনেভায় অনুষ্ঠিত মেধাস্বত্ত্ব বিষয়ক পরিষদ- ট্রিপস এর বৈঠকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ডব্লিউটিও। আর এ জন্য ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বেধে দেওয়া হয় সময়সীমা।

এ ছাড়ের ফলে মেধাস্বত্বের জন্য বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে অর্থ ব্যয় করতে হবে না। এতে একদিকে যেমন দামী ওষুধ নিজেদের বাজারে কম খরচে উৎপাদন করতে পারবে অন্যদিকে, দেশের উৎপাদিত ওষুধ থাকবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। এমনটাই মনে করেন ইনসেপ্টা ফার্মা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদিরের মতো ওষুধ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

আর এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলছেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে নতুন এ আইন। এর ফলে বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধাও থাকবে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি বাংলাদেশ এর মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের পর্যায়ে উন্নীত হয় তাহলেও আগামী ৯ বছর অর্থাৎ ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল থাকবে। আগামী ১৫-১৮ ডিসেম্বর কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ