পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশের বিরোধিতা সত্ত্বেও ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থী নেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন পেলো ইইউ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকে। রোমানিয়া, চেক রিপাবলিক, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি বিপক্ষে ভোট দিলেও সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে প্রস্তাবটি পাশ হয়।
বাধ্যতামূলক কোটায় শরণার্থীদের গ্রহণ করতে ব্রাসেলসে ইইউ দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক বসে। শুরু থেকেই কোটা প্রথার বিরোধিতায় রোমানিয়া, চেক রিপাবলিক, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি। শেষ পর্যন্ত ইইউ এর বেঁধে দেওয়া কোটা অনুযায়ী ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থীকে গ্রহণ করার প্রস্তাবটি অনুমোদন পায়।
এরফলে ইতালি, গ্রিস এবং হাঙ্গেরিতে থাকা শরণার্থীদের ভাগ করে নেবে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো। বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বুধবার ইইউ’র প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীদের বৈঠকে।
পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো বিপক্ষে ভোট দিলেও ইইউ এর নিয়ম অনুযায়ী শরণার্থীদের আশ্রয় এবং পুনর্বাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক।
তবে সবচেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে স্লোভাকিয়া। ইইউ’র সিদ্ধান্তকে চাপিয়ে দেওয়া মন্তব্য করে স্লোভাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত মানবেন না তিনি। আর চেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একমাত্র ভবিষ্যৎই বলে দেবে এটা কত বড় একটা ভুল সিদ্ধান্ত।
বৈঠকের সভাপতি লুক্সেমবার্গের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট প্রদানকারী দেশগুলো সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
এই মুহূর্তে ইটালিতে প্রায় ১৬ হাজার, গ্রিসে ৫১ হাজার এবং হাঙ্গেরিতে ৫৪ হাজার শরণার্থী রয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, এ বছর প্রায় চার লাখ ৮০ হাজার শরণার্থী সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঢুকেছে। আর এখন দিনে প্রায় ৬ হাজার শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন উপকূলে পৌঁছাচ্ছে।