১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী খাদি শিল্প

সময়ের সাথে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী খাদি শিল্প। তারপরও এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গুটিকয়েক তাঁতি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই শিল্প আবারও হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলে মনে করেন তারা। আর খাদি শিল্প টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক।

সামনেই ঈদ।তাই কুমিল্লায় জমে উঠেছে পোশাকের বেচাকেনা। কিন্তু যতোটা জমজমাট এই ঝকমকে কাপড়ের দোকানগুলো ততোটাই মলিন চেহারা দেশীয় খাদি কাপড়ের দোকানের। এক সময় খাদি কাপড়ের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও, এখন আর তা নেই। ক্রেতাদের চাহিদা না থাকায় এবং পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী খাদি শিল্প। বিক্রেতারা জানান, ক্রেতাদের বিদেশের কাপড়ের প্রতি চাহিদা বেশি থাকায় খাদি কাপড় কম বিক্রি হচ্ছে।

তবে কিছুটা ব্যতিক্রম কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ‘গ্রামীণ খাদি’ নামের এই প্রতিষ্ঠানটি। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে এখানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গুটিকয়েক তাঁতি। যদিও এখানে এক সময় ছিলো প্রায় অর্ধশতাধিক তাঁত কল, সেখানে এখন টিকে আছে হাতেগোনা মাত্র তিন চারটি তাঁত কল। তবুও পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁতিরা। কয়েকজন তাঁতি জানান, একসময় তাঁতের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও এখন বিদেশি কাপড়ের ভিড়ে তাদের অবস্থা নাজুক। এ অবস্থায় খাদি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা।

আর খাদি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে নানা উদ্যোগ নেয়ার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, ‘আমরা নতুনদের মধ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি, যেন এ শিল্পটি ধ্বংস না হয়।’ কুমিল্লার চান্দিনা এবং দেবীদ্বার উপজেলায় খাদি কাপড় তৈরির সঙ্গে বর্তমানে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ জন সম্পৃক্ত রয়েছেন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ