গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া গ্রামে বনের ভেতর কেটে ফেলা গাছের গোড়া থেকে সৃষ্টি হওয়া মানব হাতসদৃশ বস্তু নিয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোররাতে স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই বস্তুটি দেখতে পান। লাল রংয়ের শক্ত ওই বস্তুটির আকৃতি মানুষের হাতের সাথে কিছুটা সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় বিষয়টি অল্প সময়ের মধ্যে স্থানীয়দের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
সকাল থেকেই বিষয়টি জানাজানি হতে থাকে। দিন গড়ালে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। দিনভর শত শত মানুষ এই রহস্য দেখতে আসে। অনেকেই এই বস্তুটিকে ঐশ্বরিক হাত বলে মন্তব্য করে। আবার অনেকেই বিষয়টিকে অতি প্রাকৃতিক হিসেবে দেখছেন।
রহস্যে পরিণত হওয়া বিষয়টি নিয়ে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক শাহজাহান আলী ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজিক্যাল সাইন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, এটি কোনো ঐশ্বরিক বা রহস্যে ঘেরা বস্তু নয়। পৃথিবীতে বিচিত্র অনেক ছত্রাক রয়েছে, তাদের রং ও প্রকৃতি ভিন্ন। যেহেতু কিছুটা শক্ত সেহেতু এটি পলিপরাস গোত্রের অন্তর্গত কোনো ছত্রাক হতে পারে। এগুলোকে আমরা ছত্রাক বা Fungi নামে চিনি। ছত্রাকের ভেতর Hypha নামক অসংখ্য আঁশ থাকে। কোনো ছত্রাক আর্দ্রতায় অভিযোজিত হয়ে Hypha এর সমন্বয়ে cellium গঠন করে কঠিন আকার ধারণ করতে পারে। তা ছাড়া এ স্থানটি খনন করলে দেখা যাবে ভূমিতে দীর্ঘ আয়ুষ্কাল সমৃদ্ধ কোনো ছত্রাকের উপস্থিতি আছে। এটি বিচিত্র কিন্তু রহস্যজনক নয়।