আংটি বরাবরই ফ্যাশনের একটি অনুষঙ্গ৷ আগেকার মহিলার সাধারনত আংটি পরতেন অনামিকায়৷আর আংটি এখন পরা হচ্ছে হাতের সব কটি আঙুলেই। এখন ছোট্ট পাথর বা মুক্তা বসানো সোনার আংটির চল কমে গেছে। এর বদলে দেখা যাচ্ছে কাঠ, পিতল, পুঁতি, মুক্তা, মিনা করা ও পাথরে নজরকাড়া নকশার বড় আংটি। বাজার ঘুরে দেখা গেল, এ ধরনের আংটিগুলো বেশির ভাগই গোল, বরফি, তিন কোনা ও ডিম আকৃতির। এতে ধাতু ও রং-চঙে পাথরই বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।
এখন একটু বড় ও অসমান বা আঁকাবাঁকা আকৃতির আংটির চল এসেছে। কুর্তা বা ফতুয়ার সঙ্গে এ ধরনের আংটি বেশ মানাচ্ছে। তবে এই আংটিগুলো শাড়ি বা কামিজের সঙ্গেও পরা যেতে পারে। তবে দেশি পোশাকের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী নকশার বড় আংটিই বেশি মানানসই ।
অনেক ফ্যাশন ডিজাইনার না মনে করেন পোশাকের রঙের সঙ্গে না মিলিয়ে বরং বিপরীত রঙের পাথর ও নকশার আংটি পরলেই বেশি ভালো দেখায়। এ ক্ষেত্রে যেহেতু আংটিটাই বেশি দৃষ্টিগোচর হবে, তাই হাতে মোটা বালা, চুড়ি বা অন্য কিছু না পরাই ভালো। আর পরলেও তা হতে হবে খুব সাধারণ ও ছিমছাম। তবে চাইলে অন্য হাতে বালা অথবা ঘড়ি পরা যেতে পারে। অন্য সময় অনামিকাতে পরা হলেও আকারে বড় হওয়ায় এ ধরনের আংটি মধ্যমা, অর্থাৎ মাঝের আঙুলে পরা উচিত। কারণ, এটি দুই পাশের দুই আঙুলেরও গয়না ও পোশাক দুটিই জমকালো নকশার হলে ভালো দেখায় না। তাই পোশাক ও অনুষঙ্গের মধ্যে সব সময় ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত। একটি জমকালো হলে আরেকটি হওয়া চাই ছিমছাম।
কোন পোশাকের সঙ্গে কী ধরনের আংটি ভালো দেখাবে, তা নির্ভর করে পোশাক ও আংটির নকশার ওপর। আজকাল অনেককে ফাংকি টাইপের কিছু আংটিও পরতে দেখা যাচ্ছে।
লম্বা আঙুলে এ ধরনের আংটি খুব সুন্দর দেখায়। যাদের হাত বেশি রোগা এবং আঙুলগুলো ছোট, তাঁদের বড় আংটি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। তবে তাঁরা তখন উঁচু আংটি না পরে বড় কিন্তু সমতল
