আদালতের নির্দেশে হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি সরিয়ে নেওয়ার পর এবার আর সেখানে কাঁচা চামড়া প্রবেশে বাধা নেই। গতবার হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া ঢুকতে দেওয়া না হলেও এবার তাতে বাধা দেবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন। শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ। তিনি বলেন, আদালতের রায়ে হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশে বাধা দিতে বলা হয়নি। বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রশাসন চামড়ার প্রবেশ ঠেকিয়েছিল। কারখানা সরে যাওয়াতে চামড়া প্রবেশের বাধাও সরে গেছে।
হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে সাখাওয়াত বলেন, হেমায়েতপুরে কারখানা সরলেও সেখানকার অবকাঠামো খুবই নড়বড়ে। রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা হওয়ায় একটি চামড়ার ট্রাক ঢুকলে তা বের হতে অনেক সময় লেগে যায়। ট্যানারি সরে যাওয়ায় পর হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশের বাধা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে হাজারীবাগ থানার ওসি মীর আলিমুজ্জামানও জানান।
হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা এবার নেই বললেই চলে। তবে কাঁচা চামড়ায় প্রাথমিক প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য লবণ দেওয়ার কাজটি হাজারীবাগে করা যাবে।তবে চামড়া প্রক্রিয়ার অন্য কোনো কাজ সেখানে করা যাবে না।
হাজারীবাগ থেকে চামড়াশিল্প সরিয়ে সাভারের হেমায়েতপুরে বিসিকের চামড়া শিল্পনগরীতে নিতে বারবার চাপ দিয়েও ব্যর্থ হয়ে গত বছরের এপ্রিল থেকে সেখানে কাঁচা চামড়া প্রবেশে বাধা দেয় প্রশাসন। সে সময় কাঁচা চামড়ার প্রবেশ ঠেকাতে হাজারীবাগের চারটি প্রবেশমুখে পাহারাও বসিয়েছিল পুলিশ।
আদালতের রায়ের পর গত এপ্রিলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোর গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর সাভারে সরতে বাধ্য হয় ট্যানারি মালিকরা।
